মো. নুরুল করিম আরমান, লামা:
বিভিন্ন সময় বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা সদর ও ডলুছড়ি রেঞ্জের আওতায় বিভিন্ন ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পেলো বন বিভাগের ক্ষতিপূরণ। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ৭০ পরিবারের সদস্যদের হাতে পৃথক ক্ষতিপূরণের ২০ লাখ ৫২ হাজার টাকার চেক তুলে দেন লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস.এম কায়চার। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত মানুষের জান-মাল নিরুপণ কমিটির আহবায়ক রেজা রশীদ, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ফাতেমা পারুল, সহকারী বন সংরক্ষক খন্দকার মো. গিয়াস উদ্দিন, কমিটির সদস্য সচিব সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, সরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ উল আলম। বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযোদ্ধা ছলিমুল হক চৌধুরী ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলার সরই ইউনিয়নে হাতির আক্রমনে নিহত হাজেরা বেগমের ভাই আবদুল আলী ৩ লাখ ও আজিজনগর ইউনিয়নের নিহত জহুরা বেগমের স্বামী ফজলুল হক ৩ লাখ টাকার চেক পায়। একই সময় একজন আহত ও ৬৮জন কৃষক পায় জমির ফসলের ক্ষতিপূরণের চেক।

বন্যপ্রাণীর আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদানের বিষয়ে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস.এম কায়চার বলেন, পাহাড়ে আবাস্থল ও করিডোর নষ্ট হওয়ায় বন্যহাতিগুলো লোকালয়ে নেমে পড়ছে। তাই দুর্গম এলাকায় বসবাসকারীদেরকে জান মালের নিরাপত্তার স্বার্থে এ বিষয়ে বেশি বেশি সতর্ক থাকতে হবে। ভবিষ্যতে বন্যপ্রাণী মানুষের ক্ষতি করে থাকলে, বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।