আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক:

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে জম্মু বিমানবন্দরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর এক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পর রাজ্যব্যাপী রেড এলার্ট জারী থাকা অবস্থায় চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে গত রাতে জম্মু শহরের বাইরে অবস্থিত এক সেনাঘাঁটিতে আরও এক দফা ড্রোনের অনুপ্রবেশ ঘটেছে।

আজ সোমবার এক বিবৃতিতে ভারতীয় সামরিক বাহিনী তাদের সেনাঘাঁটিতে এই অনুপ্রবেশের ঘটনার কথা স্বীকার করেছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।

সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, রোববার দিবাগত রাতে জম্মু-পাঠানকোট হাইওয়ে কালুচাক সেনাঘাঁটির ওপর দিয়ে দু’টি ড্রোন উড়ে যাওয়ার সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী তা শনাক্ত করে। তবে ড্রোন দুইটি লক্ষ্য করে গুলি করলেও এরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

এর আগে, রোববার গভীর রাতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর এক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়। জম্মু বিমানবন্দরে টেকনিক্যাল এলাকায় এই হামলায় বিমান বাহিনীর দুই সদস্য আহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ভারতীয় বিমান বাহিনী। এ হামলায় বিমান ঘাঁটির একটি ভবনের ক্ষতি হলেও সামরিক সরঞ্জামের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে বিমান বাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়।

স্পেশাল পুলিশ অফিসারের বাড়িতে হামলা

এদিকে, বিমান ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রোববার রাতে জম্মু ও কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলায় এক স্পেশাল পুলিশ অফিসারের (এসপিও) বাড়িতে হামলা চালিয়েছে অস্ত্রধারীরা। হামলায় স্পেশাল পুলিশ অফিসার ফয়াজ আহমেদ এবং তার স্ত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে তাদের মেয়ে।

টুইটারে কাশ্মির জোনের পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবন্তীপোরার হরিপরিগামে ফয়াজের বাড়িতে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালায় অস্ত্রধারীরা। সেই সন্ত্রাসবাদী হামলায় ফয়াজ, তার স্ত্রী এবং মেয়ে গুলিবিদ্ধ হন। কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় ফয়াজের। পরে হাসপাতালে মারা যান পুলিশ অফিসারের স্ত্রী।

কাশ্মীর পুলিশের ইনসপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার আজ (সোমবার) জানিয়েছেন, হামলাকারী দু’জন জাইস-ই-মোহাম্মদ নামক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য।

অপরদিকে, আজ সোমবার অপরাহ্নে শ্রীনগরের মালোরা পারিমপোরা এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের সাথে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। নিরাপত্তাবাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে তল্লাসি অভিযান চালাচ্ছে\ বলে খবর দিয়েছে গ্রেটার কাশ্মীর অনলাইন পত্রিকা এবং জি নিউজ ।

আজ কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে , তারা লস্কর-ই-তৈয়েবা নামক জঙ্গি সংগঠনের একজন শীর্ষ নেতা নাদিম আবরারকে গ্রেপ্তসার করতে সক্ষম ময়েছে।

চীন সীমান্তে ভারতের শক্তি বৃদ্ধি :

সীমান্ত নিয়ে চীনের সাথে বিরোধের মাঝে ভারত গত কয়েক মাসে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলে তাদের সৈন্য সংখ্যা আরও পঞ্চাশ হাজার বৃদ্ধি করেছে বলে আজ খবর দিয়েছে কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস । লাদাখ অঞ্চলে আগে থেকেই সাড়ে চার লক্ষ সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।

চীন এবং পাকিস্তানের সাথে বিতর্কিত সীমান্ত বরাবর ভারত অতিরিক্ত সৈন্য ছাড়া ভারী সামরিক সরঞ্জাম এবং ফাইটার জেট বহরও মোতায়েন করে রেখেছে।