বিশেষ প্রতিনিধি:

বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে সর্বাত্মক লকডাউন। এই লকডাউনের সময় কোভিড টিকা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন সিলেট নার্সিং কলেজসহ সারাদেশের নার্সিং কলেজ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পূর্ব নির্ধারিত কেন্দ্রে এসে টিকা দেয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তারের প্রচেষ্টায় এই সমস্যার সমাধান হয়েছে।তার বিশেষ উদ্যোগ স্বস্তি এনে দিয়েছে নার্সিং শিক্ষার্থীদের মাঝে। এখন থেকে নার্সিং শিক্ষার্থীরা তাদের নিকটস্থ ভ্যাকসিন কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকা নিতে পারবেন। জানা গেছে, সম্প্রতি চীন থেকে আনা সিনোফার্মের টিকা সারাদেশের মেডিকেল ও নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী এবং বাদপড়া সম্মুখযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। ইতোমধ্যে টিকাদান কার্যক্রমও শুরু হয়। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কঠোর লকডাউনের মধ্যে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে এসে নার্সিং শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
এই অবস্থায় গত ২৩ জুন নার্সিং অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি পত্র প্রেরণ করেন। ওই পত্রে তিনি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে ভ্যাকসিন প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
তার এই পত্রের প্রেক্ষিতে গত শনিবার (২৬ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।এতে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত পরিচয়পত্র প্রদর্শনপূর্বক স্ব স্ব জেলার ভ্যাকসিন সেন্টারে টিকা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।স্ব স্ব জেলায় টিকা গ্রহণের সুযোগ করে দেয়ায় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি দৌলতুন্নেছা বেগম। বিএনএ কক্সবাজার শাখার নেতা ছৈয়দ আহমদ তানশীর উদ্দীন বলেন এ সংকটময় পরিস্থিতিতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের দূরদূরান্ত থেকে এসে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকা নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে এজন্য আমরা নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।