ইমরান হোসাইন, পেকুয়া:
পেকুয়ায় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে (৫০) কুপিয়ে দুই আঙুল বিচ্ছিন্ন ও তার ভাই নুরুল আলমকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় পেকুয়া থানাকে মামলা রুজুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ নির্দেশ দেন বলে জানান বাদী পক্ষের আইনজীবী লুৎফুল কবির।

এডভোকেট লুৎফুল কবির বলেন, পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের কাছারি মোড়া এলাকার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে কুপিয়ে দুই আঙুল বিচ্ছিন্ন ও তাঁর ভাই নুরুল আলম এবং ভাগিনা সরওয়ার আলমকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় বৃহস্পতিবার আদালতে ফৌজদারি দরখাস্ত দেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম। ওই দরখাস্তে দুইজনকে আসামী করা হয়েছে। আসামীরা হলেন, পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী এলাকার রবি আলমের ছেলে মো. তারেক প্রকাশ ছুট্টু (২৫) এবং মৃত জামাল হোছাইনের ছেলে রবি আলম (৫৫)। আদালত দরখাস্তটি আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা রুজুর জন্য পেকুয়া থানাকে নির্দেশ দেন।

মামলার দরখাস্ত সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের কাছারিমোড়া এলাকায় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের বোন নুরুন নাহার বেগমের বসতভিটা দখলের উদ্দেশ্যে বিবাদীরা সশস্ত্র হামলা করে। এতে বাধা দেওয়ায় নুরুন নাহার বেগমের ছেলে ছরওয়ার আলমকে জবাই করার চেষ্টা চালান তারা। তখন নুরুন নাহার বেগমের চিৎকারে তার ভাই জাহাঙ্গীর আলম ও অপর ভাই নুরুল আলম ঘটনাস্থলে যান। এসময় রবি আলমের হাতে থাকা ধারালো কিরিচের কোপে জাহাঙ্গীর আলমের ডান হাতের দুটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গুরুতর জখম হন নুরুল আলম ও ছরওয়ার আলম।

ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সেদিন রাতে রবি আলম আমাকে, আমার ভাই ও ভাগিনাকে হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে ধরে ফেলে। ঘটনাস্থলে উত্তেজিত সাধারণ জনতা তাকে গণধোলাই দেয়। কিন্তু এ ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, আদালত থেকে এখনো কোন নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।