মিজানুর রহমান :
মরহুম এডভোকেট আমজাদ হোসেন অধিক গুনের অধিকারী ছিলেন, তাঁর গুনের শেষ নেই। বললেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকেল ৩টায় চকরিয়া পৌরসভার উদ্যোগে, চকরিয়া মহিলা কলেজ মিলনায়তনে মোহাম্মদ মোহসিনের সঞ্চালনায় এডভোকেট লুটফুর কবিরের সভাপতিত্বে মরহুম এডভোকেট আমজাদ হোসেনের দ্বিতীয় স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,১৯৮০ সাল থেকে আওয়ামী লীগের দুর্দিনের হাল ধরেছিলেন মরহুম এডভোকেট আমজাদ হোসেন। আজ আমরা বড় বড় কথা বলি, রাজনীতি করি, আপনারাতো সেই দুর্দিনের কথা জানেন না। সেই সময়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ছিলো অন্যরকম আর আজকের আওয়ামী লীগের কর্মীরা হচ্ছে আরেক রকম।
তিনি আরও বলেন,মরহুম এডভোকেট আমজাদ হোসেন ছিলেন কর্মযোগী ও কর্মীবান্ধব একজন নির্ভীক রাজনীতিবিদ। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মাঠে থেকে পুলিশের লাঠিপেটা খেয়েও আন্দোলনে অটল ছিলেন তিনি।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাইদি, জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল,আমিনুর রশিদ চন্ডু আবুল কালাম আজাদ জাফর, কমিশনার চগির আলম
জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট কামাল হোসেন প্রমখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, অতিথি যথ সংগঠন ছিলো, বাকশাল, থেকে শুরু করে সমস্ত সংগঠনের নেতা ছিলেন তিনি।
মরহুম এডভোকেট আমজাদ হোসেন যদি চাইত তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক হত। তিনি টাকার কাছে আপোষ করেননি, আওয়ামী লীগের দুর্দিনের নেতা ছিলেন আমজাদ মিয়া, তার শরিরের রক্ত রাজপথে ছিলো। অন্যায়, অভিচার, তিনি আমাদের শিখেন নাই, আমরা তার শততাকে বোকে ধারণ করে বেছে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
সুতারং এ কারণেই জনগণের নেতাতে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে জেলা বাসি ত্যাগী নিঃস্বার্থ জননেতাকে হারিয়েছে।
উক্ত সভায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।