ইমরান আল মাহমুদ, উখিয়া:
সরকারের মহা উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের মধ্যেও অবহেলিত উখিয়ার রাজাপালং-রত্নাপালং এলাকার ৫ হাজারের অধিক মানুষ।
দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সাঁকো দিয়ে জীবনযাপন করে আসছে। প্রতিনিয়ত স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সবার দুর্ভোগের যেনো শেষ নেই। যাতায়াতের একটি মাধ্যম কাঠের সাঁকো।
রাজাপালং-রত্নাপালং সংযোগ সেতু ছিল এখানকার বাসিন্দাদের স্বপ্ন। সত্যি তা বাস্তবতায় রূপ নিচ্ছে। প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দে নির্মাণ করা হচ্ছে ৪৮মিটার সেতু। ঠিকাদারও নিয়োগ করা হয়েছে। সেতুটির মাধ্যমে বদলে যাবে এলাকাবাসীর জীবনমান।
রেজুরকুল এলাকার বাসিন্দা প্রিয়তোষ বড়ুয়া বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে দীর্ঘ ৫০বছর আসা যাওয়া করতেছি। বর্ষার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয়। ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণের জন্য সরকারের নিকট আকুল আবেদন জানাই।
জয়সেন বড়ুয়া বলেন, আমরা ৫৭বছর ধরে আমরা একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগে আছি। এ দুর্ভোগ লাঘবে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে বলে শুনেছি। দ্রুত টেকসই সেতু নির্মাণ করা হোক।
পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় পড়ুয়া কয়েকজন ছাত্রী জানান, কাঠের সাঁকো দিয়ে আমরা স্কুলে,প্রাইভেটে আসা যাওয়া করি। বর্ষার সময় খুবই ঝুঁকি নিয়ে যেতে হয়।
তবে দীর্ঘ ৫০বছরের সাঁকো এবার উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে। নির্মাণ করা হচ্ছে ৪৮মিটার সেতু।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, রাজাপালং-রত্নাপালং সংযোগ সেতুটি প্রায় ৩কোটি টাকায় নির্মাণ করার হচ্ছে। দ্রুত কাজ শুরুর জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু হয়নি। এর আগে দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ পরিদর্শন করা হয়েছিলো। ৪৮মিটার এ সেতু নির্মাণ শেষ হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।