সিবিএন ডেস্ক:
বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া ৫০ হাজার ডলার ফিলিস্তিন সরকারের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য সাহায্য হিসেবে পাঠানো ওষুধসামগ্রী হস্তান্তর করা হয়েছে।

জর্ডানের বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র এ তথ্য জানায়।

জর্ডানের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে অর্থ ও ওষুধসামগ্রী ফিলিস্তিনকে দেওয়া হয়েছে। জর্ডানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান গত ২১ জুন জর্ডানে ফিলিস্তিন দূতাবাসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জর্ডান হাশেমাইট চ্যারিটি সংস্থার মহাসচিবের কাছে বাংলাদেশ সরকারের এই সাহায্য হস্তান্তর করেছেন।

ফিলিস্তিনিদের কাছে সহায়তা পৌঁছানোর জন্য জর্ডান হাশেমাইট চ্যারিটি ফাউন্ডেশনই একমাত্র সংস্থা যারা জর্ডান সরকার ও দখলদার ইসরায়েলি সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাপ্ত সহায়তা ফিলিস্তিত ভূখণ্ডে পৌঁছে দেয়। বাংলাদেশের বিকন গ্রুপ থেকে প্রাপ্ত ওষুধ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পর থেকেই ফিলিস্তিন বিষয়ে বাংলাদেশ সর্বদা সোচ্চার। ফিলিস্তিনি জনগনের প্রতি সব সময়য়েই সহমর্মিতা পোষণ করে আসছে।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে প্রদত্ত তার প্রথম ভাষণেও ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি একাত্মতা পোষণ করে সব দখলদারিত্বের অবসানের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারই ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছেন।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া সহায়তা ফিলিস্তিনী জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য জর্ডান সরকার ও হাশেমাইট চ্যারিটি ফাউন্ডেশানকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হাশেমাইট চ্যারিটি ফাউন্ডেশানের মহাসচিব ড. হুসেইন শিবলি ওষুধসামগ্রী পাঠানোর জন্য বিকন গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মুসলিম ভ্রাতৃত্বের অনন্য নজির হিসেবে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া চিকিৎসা সহায়তা ফিলিস্তিনি জনগণের মানসিক শক্তিকে দৃঢ় করবে।

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক উদারতার কথা উল্লেখ করে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

ফিলিস্তিন দূতাবাসের প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জনক শেখ মুজিবুর রহমান ফিলিস্তিনির অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। মানবিক আদর্শের দুই মহান নেতার উত্তরসূরিরা আজও উভয় দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ধরে রেখেছেন।

বাংলাদেশ তার আদর্শিক অবস্থান ও ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য সেদেশের জনগণের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।