চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামে গত এপ্রিলের পর থেকে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে করোনা সংক্রমণ। কখনো শনাক্তে আবার কখনো মৃত্যুতে একের পর এক রেকর্ড গড়ছে আর ভাঙছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মারা গেছেন ৬ শ ৬২ জন। এর মধ্যে ৪৬৩ জন চট্টগ্রাম নগরের। আর বিভিন্ন উপজেলায় মারা গেছেন ১৯৯ জন।
জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৫৬ হাজার ৩৯৭ জন। মোট শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৪৪ হাজার ৩৫৯ জন। আর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১২ হাজার ৩৮ জন রয়েছেন।
সার্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর। আর তাই নগরীতে করোনা সংক্রমণ রোধে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আবারও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন।
করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা নগরবাসীর স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে আগামীকাল ২৩শে জুন রাত ৮টার পর থেকে দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে নতুন এ বিধিনিষেধে ফার্মেসির দোকান খোলা রাখার কথা জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২২ জুন) বিকাল ৩টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল থেকে নগরে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মাঠে থাকবে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম।
সব ধরনের ধর্মীয়-সামাজিক অনুষ্ঠানে গণজমায়েত নিষিদ্ধ। রেস্টুরেন্টে ৫০ ভাগের বেশি মানুষের সমাগম হলে জরিমানা। তাছাড়া যানবাহনে অধিক ভাড়া বন্ধে নজড়দারি বাড়ানো হবে এবং কমিনিউটি সেন্টারে বিয়ে ও মেজবানসহ সকল অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, উপ পরিচালক (স্থানীয় সরকার) বদিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনি আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।