মোহাম্মদ হেসেন, হাটহাজারী:
চট্টগ্রাম-নাজিরহাট সেশনে লোকেল ট্রেন না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীসাধারণ, বন্ধ লোকাল ট্রেন: ফাঁকা স্টেশন চত্বর, যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ, জমছে অভিযোগ। করোনা সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার সারাদেশের মতো চট্টগ্রাম-নাজিরহাট ডেমু ও লোকেল ট্রেন পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে নাজিরহাটগামী লোকাল ট্রেন যাত্রীরা। ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রী থেকে সকলেই। পাশাপাশি ভোগান্তি বেড়েছে নিত্যদিনের যাত্রীদের। করোনার আগে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ ডেমু এবং লোকাল ট্রেনেই বেশিভাগ যাতায়াত ছিল। ট্রেন চলাচল না থাকায় সাধারণ মানুষকে বাস এ করে যেতে হচ্ছে কর্মস্থলে। এ দিকে পরিবহণ কর্তৃপক্ষ একজনের জন্য দুটি সিট বরাদ্ধ নির্ধারণ করায় যাত্রীদের আর্থিক ভাবে ক্ষতি এবং বেশি সময়ে গাড়ি কর্মস্থলে পৌছাঁর কারনে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। করোনা সংক্রামণের কারনে দুটি সিট এর টাকা একজন যাত্রী বহন করতে হয়। ভাড়া বেশির কারনে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নাজিরহাট ও ফটিকছড়ি এলাকার কর্মজীবি মানুষের।
খেটে খাওয়া এ সব মানুষ ফের চরম সঙ্কটে পড়বে। যারা সরকারি বা বিভিন্ন বেসরকারি কল কারখানা ও অফিসে চাকুরী করেন, তারাই বাস সিএনজি করে গন্তব্যে পৌঁছিতে হয়। শহর থেকে ৩০/৪০ কিলোমিটার ট্রেনে করে আসা যাওয়া করে এমন সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। বর্তমানে এ সব কর্মজীবি মানুষ প্রতিদিন দুই থেকে তিন গুন গাড়ি ভাড়া বেশি দিয়ে চাকুরী রক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছে। অনেকের দাবি জীবিকার সন্ধানে কাজে বেরুতে হচ্ছে। কিন্তু ট্রেন না থাকায় বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ সময় দিতে হচ্ছে কর্মস্থলে পৌছিঁতে। অটো-রিকসা ভাড়ায় সামর্থও অনেকের নেই। ট্রেন বন্ধ হওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছেন ওই এলাকার দরিদ্র সবজিসহ বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের। পাইকারি থেকে খুচরো কিনে নিয়ে যারা শহরের বিভিন্ন হাটে বিক্রি করতেন, তারা আজ এলাকার হাটে এসে ভালো দাম পাচ্ছেন না বলে না বলে জানান। হঠাৎ করে লকডাউনে সমস্যায় পড়েছেন এ সব দরিদ্র মানুষ।
হাটহাজারী স্টেশনের দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদীন এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন,লকডাউনের কারনে বন্ধ হওয়া ট্রেন এখনো চালু হয়নি,কখন চালু হবে তা আমাদের জানা নেই,উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ট্রেন চালু হলে আমাদেরকে জানাবেন তখন সবাই জানতে পারবে।