নুরুল কবির, বান্দরবান:
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে নওমুসলিম, মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ ওমর ফারুক (৪৫)কে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
শনিবার সকালে মুক্তমঞ্চের সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বান্দরবান পাবত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ সভাপতি কাজি মজিবুর রহমান, সাধারন সম্পাদক নাছিরুল আলম, সহ-সভাপতি আবুল কালাম ও মিজানুর রহমান প্রমুখ্য, সভাপতিত্ব করেন বান্দরবান পাবত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ নেতা ক্যাপ্টন তারু মিয়া। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে পাবত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে আবার একই স্থানে পৌঁছে শেষ হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা ওমর ফারুক হত্যার ঘটনায় পাহাড়ের সন্ত্রাসী আঞ্চালিক সংগঠন জেএসএস সন্তু লারমার বাহিনীকে দায়ী করেন। সন্তু লারমা পাহাড়ে সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করার লক্ষে একের পর এক হত্যা কান্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে । এছাড়াও পাহাড়ে চাঁদাবাজী গুম খুনের সাথে সন্তু লারমা জড়িত বলে অভিযোগ করেন বক্তারা । তাই অবিলম্বে সন্তু লারমাকে গ্রেফতারের দাবী জানান তারা।
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নওমুসলিম মোহাম্মদ ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা গিয়েছে। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে পড়েছে। মোহাম্মদ ওমর ফারুকের আগের নাম ছিল বেরণ চন্দ্র ত্রিপুরা। নিহত মৃত তয়ারাম ত্রিপুরার ছেলে। ত্রিপুরা সম্প্রদায় থেকে কয়েক বছর আগে সে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে ওই এলাকায় একটি অস্থায়ী মসজিদের ইমামতি দায়িত্বে আছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন থেকে সন্ত্রাসীরা ওই নওমুসলিম মসজিদের ইমামকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। ঘটনাস্থল তুলাঝিড়ি পাড়ায় গত কয়েক বছর ধরে নও মুসলিম এর কয়েকটি পরিবার সহ বেশ কিছু পরিবার বসবাস করে আসছিল। তারা সেখানে টিনের ছাউনির কাঁচা ঘরের একটি অস্থায়ী মসজিদ নির্মাণ করে। সেখানে নওমুসলিম মোহাম্মদ ওমর ফারুক মসজিদের ইমামতি করে আসছিলেন। শুক্রবার রাতে ৪/৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ঘরবাড়ি ঘেরাও করে ওমর ফারুককে ঘর থেকে ডেকে এনে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করে। তবে সন্ত্রাসী দলটি কারা ছিল এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন কিছু জানা যায়নি।
বান্দরবানে পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীরা রাতে তাকে ঘর থেকে ডেকে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার পর সেখানে রোয়াংছড়ি ও পার্শ্ববর্তী লংলাই সেনা ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এছাড়া রোয়াংছড়ি থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।