এইচ.কে রফিক উদ্দিন:
গ্রামের নাম হরিণ মারা। উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের অবহেলিত একটি গ্রাম। প্রভাবশালীদের শতাধিক অবৈধ ডাম্পারের ১২মাসী অত্যাচারে অতিষ্ট হরিণমারাবাসী। বৃষ্টিতে হাটু পরিমাণ কাদা, রোদে ধুলা, দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।

এ গ্রামের মানুষ প্রশ্ন কখন ডাম্পার সিন্ডিকেট’র নির্যাতন বন্ধ হবে? হরিণ মারার এলাকার রাস্তা গুলো তারা ভাল দেখবে ত? এমন উদ্বেগ নিয়েই দিনাতিপাত করছেন হরিণমারার বাসিন্দারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃহত্তর হরিণমারা গ্রামে হাজার হাজার মানুষ বসবাস করে। রয়েছে শতাধিক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী। প্রতিদিন তাদের যাতায়াতে কস্টের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছে বর্ষা মৌসুমে ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে রাস্তার মাটি পানির সাথে মিশে যায়। সে সময় শিক্ষার্থীরা ঠিকমত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না।এমনকি মরদেহ কবরস্থানে নেওয়ার উপায় থাকেনা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ঐ এলাকার বাসিন্দা ইমরান হোসাইন ও ছাত্রলীগ নেতা মিজান সমাস্যা সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন ও মানববন্ধন করার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন উখিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক জসিম আজাদ বলেন, পাহাড় কর্তন করে মাটি পাচার করা শতাধিক অবৈধ ডাম্পার অবাধ বিচরণের ফলে হরিণ মারা সহ উখিয়া উপজেলার অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষের চলাচলের রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। শীঘ্রই প্রশাসনের সহযোগীতা নিয়ে রাস্তা ও পরিবেশ বিনষ্টকারী অবৈধ ডাম্পার সিন্ডিকেট’র বিরুদ্ধে রুখেঁ দাড়াঁনো সহ বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, রাস্তাগুলোর টেন্ডার সম্পন্ন হয়ে টিকাদার পর্যন্ত নিয়োগ হয়ে গেছে। বৃষ্টি কমলে রাস্তার কাজ শুরু হবে। তবে রাস্তার কাজ সুষ্টু ভাবে সম্পাদন করতে এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।