হোয়াইট হাউসে জোর তদবির চালিয়ে টিকার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি আদায় করেছেন প্রবাসী বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক।
সিবিএন ডেস্ক:
অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রবাসী বাংলাদেশিরা হোয়াইট হাউসে তদবির চালিয়ে এই টিকার ব্যবস্থা করেছেন।
সাত দিনের সরকারি সফরে রোববার (১৩ জুন) নিউইয়র্কে পৌঁছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনও জানালেন, যুক্তরাষ্ট্রের করোনার টিকা দেওয়ার তালিকায় ছিল না বাংলাদেশ, প্রবাসীদের কারণে এখন টিকা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
করোনা মহামারির মধ্যে প্রতিষেধক টিকার সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অভাবে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার অপেক্ষায় ১৪ লাখের বেশি মানুষ। এখন পর্যন্ত কোনো দেশের সঙ্গে আমদানি চুক্তি করতে পারেনি বাংলাদেশ। এ অবস্থায় হোয়াইট হাউসে জোর তদবির চালিয়ে টিকার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি আদায় করেছেন প্রবাসী বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক।
কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ডা. মাসুদ হাসান বলেন, আমরা ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের কাছে যাই। এরপরে উনার সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশের নাম এন্ট্রি করি। আগে বাংলাদেশের নাম ছিল না। আমরা আশ করি দ্রুত ১ মিলিয়ন (১০ লাখ) টিকা বাংলাদেশ পেয়ে যাবে।
রোববার নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনও প্রবাসীদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, যেসব দেশে বেশি মানুষ মারা গেছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র টিকা দিচ্ছে। আমাদের নাম ছিল না। তবে প্রবাসীরা যে উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসনীয়।
সাতদিনের সরকারি সফরে নিউইয়র্কে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা। সফরে জাতিসংঘে সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা ইস্যু ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর আলাদা দুটি সভায় অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়াও জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গেও তার বৈঠক হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।