ছমুদা খাতুন অসহায় গৃহিণী। স্বামী এবাদুল্লাহ্ দিনমজুর। পরের বসতবাড়িতে কাজ করে চলতো। বছর খানের আগে তিনি ফুসফুসে ক্যান্সার আক্রান্ত হন। কাজে যেতে পারেন না। চোখেমুখে এখন অন্ধকার। যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। তিন বেলা খাবার জুটেনা যার, লক্ষ টাকার চিকিৎসা খরচ পাবে কই? তবু ৪ ছেলে ১ মেয়ের জীবনসংসারে বাঁচার স্বপ্ন তার।
আকুতি জানিয়ে ছমুদা খাতুন বলেন, আমাকে একটু ভালোভাবে চিকিৎসা করেন। আপনারা চেষ্টা করেন। আমার মাথা চলে যাচ্ছে। মানুষ দেখছি না। আমার পেট বেশি ব্যাথা। জ্বালা-পোড়া করছে। সহ্য করতে পারছি না। আমাকে একটু সুস্থ করেন। আমার সন্তানদের দিকে চেয়ে হলেও সাহায্যের হাত বাড়ান। আপনার ১০ বছর গোলামি খাটবো!
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে এলাকাবাসীর সহায়তায় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা করেছে ছমুদা। ইতোমধ্যে সহায়-সম্বল সব শেষ। মৃত্যুযন্ত্রণা উপভোগ করলেও আর হাসপাতালে যেতে পারছে না। কারণ হাত শূন্য। যাতায়াত খরচও নাই। বিত্তশালী, মানবতাবাদীদের সাহায্যের হাত বাড়ানোর আহবান জানিয়েছে এলাকাবাসী।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।