মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

সরকারি সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কক্সবাজারের সকল হোটেল-মোটেল, পর্যটন শিল্প সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।

কক্সবাজার জেলার কোভিড-১৯ এর চলমান পরিস্থিতি নিয়ে এ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়ক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারে পর্যটক আসা-যাওয়ার জন্য বিমান পরিবহন খুলে দেওয়া হয়নি। মূলত জরুরী প্রয়োজন মেটানোর জন্যই বিমান চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ আরো বলেন, দেশে যেহেতু আপাতত করোনা ভ্যাকসিনের সংকট রয়েছে, সেক্ষেত্রে করোনা সংক্রামণ প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহারকে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

শনিবার ১২ জুন সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এ.টি.এম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা সংক্রামণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ মামুনুর রশীদ, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া, ডিডিএলজি (উপসচিব) শ্রাবস্তি রায়, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডা. সুমন বড়ুয়া, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় কক্সবাজার জেলার করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় জেলার সার্বিক কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের হোটেল মোটেল ও পর্যটন শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা এখানকার পর্যটন শিল্প স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালন করা সাপেক্ষে দ্রুত খুলে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে দাবী জানিয়ে আসছে। করোনা সংক্রামণ প্রতিরোধে সরকারের বিধিনিষেধ আরোপের পর থেকে দীর্ঘ ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বন্ধ রয়েছে।