পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শেখ হাসিনার কারামুক্তির দিবসে বক্তারা

কালের প্রবাহমানতায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে দৃপ্তভাবেই উচ্চারিত হবে শেখ হাসিনা

প্রকাশ: ১১ জুন, ২০২১ ০৯:৫১

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


এম.এ আজিজ রাসেল :
জনগণের মুক্তি আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক জেল-জুলুম ও অত্যাচার নির্যাতন। শেখ হাসিনা অসংখ্যবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন, কিন্তু জনগণের অকৃত্রিম ভালোবাসায় সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিতে অকুতোভয় নির্ভীক সেনানীর মতো নিরবচ্ছিন্নভাবে পথ চলেছেন। তাই কালের প্রবাহমানতায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে দৃপ্তভাবেই উচ্চারিত হবে শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল করের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আশেক উল্লাহ রফিক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দাঁড়িয়ে আমাদের বড় সার্থকতা এখানেই যে, আজ পাকিস্তান আমাদের উন্নতি দেখে হা-হুতাশ করে। সমস্ত সূচকে আমরা তাদেরকে অনেক আগেই পেছনে ফেলেছি। তাদের প্রধানমন্ত্রী যখন পাকিস্তানকে ১০ বছরের মধ্যে সুইডেন বানানোর কথা বলে, তাদের জনগণ বলে- সুইডেন লাগবে না, ১০ বছরের মধ্যে আমাদেরকে বাংলাদেশের অবস্থানে নিয়ে যান।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব উন্নতিতে আলোচনার ঝড়, পাকিস্তানের হা-হুতাশ, জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর প্রশংসা হলেও আমাদের টিভিতে যারা রাত বারোটার পর টক শো’তে বিশেষজ্ঞ হিসেবে পর্দা ফাটান, তাদের মুখে আর বিএনপির মুখে কোনো প্রশংসা শুনতে পাওয়া যায় ন।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ১/১১ এর কারিগরেরা চেয়েছিল এই দেশকে পাকিস্তান বানাতে। কিন্তু এই দেশের প্রতিবাদী মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্ত করার মাধ্যমে তাদের সেই গভীর চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেয়। বর্তমানে ১৮ কোটি মানুষের জন্য দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ভিশন ২০২১ সালের আগেই দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। কক্সবাজারসহ সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। তা বাস্তবায়ন হলে বিশ্ব বাংলাদেশ হবে

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। হত্যার নীল নকশা প্রণেতারা এখনও সক্রিয় রয়েছে। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে তারা নানান ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা বেঁচে থাকতে কোন ষড়যন্ত্র সফল হতে দিব না। রাজনীতিতে এসে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। কখনো কারো কোন ক্ষতি করিনি। চেষ্টা করেছি মানুষের ভাল করার। আমার জীবনটা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য উৎসর্গ করেছি।

তিনি বলেন, একজন সাংসদ রাজনীতির শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করেছে। তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান না জানিয়ে আমাকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করেছে। এই বিচার সাধারণ মানুষ ও আল্লাহ করবে। সময়মতো তাঁর জবাব দেওয়া হবে। তাই প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে মানুষের সাথে অসদাচরণ না করে ভাল ব্যবহার করুন।

আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশকে পাকিস্তান করতে চেয়েছিল জিয়াউর রহমান। দেশে আসার পর শেখ হাসিনা নিয়েও নানা ষড়যন্ত্র ও হত্যা চেষ্টা চালানো হয়। গণতন্ত্র ধ্বংস করতে সেইদিন শেখ হাসিনাসহ প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০০৮ সালের ১১ জুন দেশের আপামর জনসাধারণ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্ত করে। কিন্তু এখনো পাকিস্তানি দুসরদের সেই ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। তাই তাদের চিহ্নিত করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমুচিত জবাব দিতে হবে।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আছিফুল মওলা, ডা. পরিমল দাশ, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, জানে আলম পুতু, মিজানুর রহমান, দীপক দাশ, আবু আহম্মদ ও আবদুল মজিদ সুমন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন হাজী এনামুল হক, আতিক উল্লাহ কোম্পানি, হাসান মেহেদী রহমান, এড. রিদুয়ান আলী, শুভ দত্ত বড়ুয়া, নুরুল আলম, এ,বি ছিদ্দিক খোকন, ওসমান গণি টুলু, ইমরুল কায়েস চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, আরমানুল আজিম, জাফর আলম, জহিরুল কাদের ভুট্টু, নজরুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, ইয়াহিয়া খান, তাজউদ্দীন, হাবিব উল্লাহ, সেলিম নেওয়াজ, ওয়াহিদ মুরাদ সুমন, খোরশেদ আলম রুবেল, মেজবাহ উদ্দিন কবির, জিয়া উল্লাহ চৌধুরী, ফয়সাল হুদা, সোহেল রানা, আমির উদ্দিন ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন প্রমুখ।