রাশেদুল ইসলাম মাহমুদ:
বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা। সড়কপথ দেখলে মনে হয় এ যেন নৌপথ। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার ১২ ঘণ্টা পরেও জলাবদ্ধতা থাকে অনেক এলাকায়।

বিকল্প রাস্তা নিয়ে বারবার আশ্বাসের কথা শোনা গেলেও এই ভোগান্তি থেকে নিষ্কৃতি মিলছে না শহরবাসীর।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন ) সকালে সল্প বৃষ্টিতে রুমালিয়ারছড়াসহ শহরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

শহরের রুমালিয়ারছড়া, খুরুশকুল রাস্তার মাথা, কালুর দোকান, টেকপাড়ার চৌরাস্তার মোড়, বড় বাজার রোড়সহ আশপাশের প্রায় সব সড়কেই জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে৷

রুমালিয়ারছড়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল হুদা আক্ষেপ করে এ প্রতিবেদক কে বলেন, ‘বৃষ্টির ভোগান্তি রুমালিয়ারছড়ার নিয়মিত চিত্র। বৃষ্টি হলে ভোগান্তি হবেই। পানি জমবেই। জন প্রতিনিধি আর সরকারি আমলাগণ শুধু আশ্বাস দিতে পারেন, কাজ করতে পারেন না।’

কালুর দোকান এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি শুরুর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা কাঁদায় ভরে যায়। আর আধ ঘণ্টার বৃষ্টি মানেই জলাবদ্ধতা।

নজরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘আমরা পৌর শহরে থাকি না কোথায় থাকি বুঝি না। এটি একটি শহরের চিত্র হতে পারে না।’

উল্লেখ্য , গত ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে শহরের প্রধান সড়কের কাজ শুরু হয়৷ এর পর থেকে হালকা বৃষ্টি হলেই রেকর্ড পরিমান পানি ঝমে যায় শহরে। আর সে বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধ হয় প্রায় পুরো শহর।

জনগনের দূর্ভোগের বিষয়ে গত সপ্তাহে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে, কর্ণেল ফোরকান আহমেদ জানিয়েছিলেন, শহরকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষায় তারা কাজ করছেন।

কউক আরো জানিয়েছিলেন, জনগণের কষ্ট দেখে শহরবাসী চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করেছি, আগামী দুই বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতাকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ফোরকান আহমেদ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্ষাকালে দেশের আকাশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু অবস্থান করে, যার প্রভাবে হয় বৃষ্টি। আগামী সোমবার এই বায়ু দেশের আকাশে প্রবেশ করবে, এ কারণে বাড়বে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।