মুহাম্মদ মনজুর আলম, চকরিয়া:
চকরিয়া পৌরসভার নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় স্থগিত করায় ভোটারদের মাঝে হতাশা নেমে এসেছে। দীর্ঘদিন পরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পাওয়া ভোটের আমেজ আবারো ভাটা পড়ায় সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন।
যথাসময়ে ভোট অনুষ্টিত না হওয়ায় পৌরসভার উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। শুরু করা কাজ যথাসময়ে শেষ না হলে চলতি বর্ষা মৌসুমে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে বলেও অনেকে ধারণা করছেন।
করোনা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ৯ পৌরসভাসহ ১৬৩ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।
এদিকে দুই মেয়র প্রার্থীদের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে হামলার ঘটনাও হয়েছে। দীর্ঘদিন স্থগিত থাকলে এই ধরনের সংঘর্ষ আরো হতে পারে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।
চকরিয়া পৌরসভার কামাল উদ্দিন নামের এক বাসিন্দা বলেন, পরপর দুই বার ভোটের তারিখ পরিবর্তন করায় ভোটারের মাঝে সেই আমেজ আর নেই। প্রার্থীরাও অনেকে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
বর্তমান মেয়র ও প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী বলেন, নির্ধারিত সময়ে ভোট অনুষ্টিত না হওয়ায় প্রার্থীদের ভোগান্তি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মাঝেও এক ধরনের হতাশা বিরাজ করে।
পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও কাউন্সিলর প্রার্থী মো. রেজাউল করিম বলে, ভোটারদের চাঙ্গা রাখতে প্রতিনিয়ত এলাকায় যেতে হচ্ছে। ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত এভাবে চালিয়ে যেতে হবে।
চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন পৌরসভার নির্বাচন স্থগিতের ঘোষনা দেন। পরবর্তী ঘোষনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রচার প্রচারণা বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত গত ১১ এপ্রিল প্রথম দফায় নির্বাচন অনুষ্টানের কথা ছিল। করোনা সংক্রমনের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ২১ জুন ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করা হয়। একইভাবে করোনা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ৯ পৌরসভাসহ ১৬৩ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।