আল জাবের:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ভেতরে বেহাল দশা। তাই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে পরিষদ ভবনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। ইউপি সচিব, ইউনিয়ন তথ্য সেবায় সার্বক্ষণিক যারা কাজ করছে তাদের মাথার উপরে ছাদের নীচের অবস্থা দেখলে যে কারোরই ভয় পাওয়ার কথা কখন ভেঙে পড়ে ছাদের অংশ।
ইউপি ভবনের গ্রাম আদালত যেখানে বসে ঠিক তগার উপরের ছাদের ভাংগন তো আরো ঝুকিপূর্ণ। মনে হয় যে কোন মুহূর্তে খসে পড়বে ছাদের খন্ড খন্ড অংশ। যে কোন সময় বড়ো ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়ে যায়।
চকরিয়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন নতুন ভবন পেয়েছে। বদরখালী ইউনিয়নে এখনো নতুন ভবন কেন হলোনা তা এখন সবার প্রশ্ন।
চকরিয়া উপজেলায় শিক্ষা দীক্ষায় ও অর্থনৈতিক ভাবে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ইউনিয়ন হচ্ছে বদরখালী। তার উপর এশিয়ার বৃহৎ সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির অবস্থানও বদরখালীতে। এই বদরখালী হয়ে যেতে হয় মহেশখালীতে যেখানে গড়ে তুলা হচ্ছে দ্বিতীয় সিংগাপুর। যেখানে প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। দেশের সবচেয়ে বড়ো অর্থনৈতিক অঞ্চল সবচেয়ে বড়ো বিদ্যুৎ প্রকল্প মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর এল এন জি টার্মিনাল সহ আরো অনেক মেঘা প্রকল্প সমুহের গেইটওয়ে বা মুখ হচ্ছে এই বদরখালী। তাই বদরখালীর গুরুত্ব অনেক।
দেশের চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত অসংখ্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বদরখালীতে জন্ম নিয়েছে। পুলিশ বিভাগ বিচার বিভাগে উচ্চতর পদে চাকরি করছে বদরখালীর সোনার ছেলেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রকৌশলী আইনজীবী সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের স্বাক্ষর রাখছে বদরখালীর সন্তানেরা।

তাই বদরখালী এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও সমৃদ্ধ এলাকা। এই ইউনিয়নের সুন্দর ভবন সময়ের দাবি। বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির একটি নান্দনিক ভবন হয়েছে। এখন একটি নান্দনিক ইউপি ভবন হলে বদরখালীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

বদরখালীর যারা জনপ্রতিনিধি এবং নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের ভুমিকা দেখতে চায় মানুষ।