মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্র সমুহ খুলে দেওয়ার জন্য প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত পেছানো হয়েছে। এখন কোভিড-১৯ এর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। পরিস্থিতি একটু উন্নতি হলেই কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি মঙ্গলবার ৮ জুন সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন কাজ পরিদর্শনকালে একথা বলেন।
পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী আরো বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণের জন্য অবকাঠামো নির্মাণকাজ প্রায় শেষ দিকে। নির্মাণ ও আনুষাঙ্গিক কাজ পুরোপুরি শেষ হলেই কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল করবে।
পরিদর্শনকালে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ হান্নান মিয়া, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ, কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রতিমন্ত্রীর সাথে ছিলেন।
এদিকে, কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা এখানকার পর্যটন শিল্প স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালন করা সাপেক্ষে দ্রুত খুলে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে দাবী জানিয়ে আসছে। করোনা সংক্রামণ প্রতিরোধে সরকারের বিধিনিষেধ আরোপের পর থেকে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বন্ধ রয়েছে।
এরআগে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি ২ দিনের সফরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিমানযোগে কক্সবাজার আসেন। প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী মঙ্গলবার বিকেলে খুরুস্কুল আশ্রয়ান কেন্দ্রে শেখ হাসিনা টাওয়ার সহ পর্যটন জোন, সংযোগ সেতু ও সেতুর সংযোগ সড়ক পরিদর্শন করবেন বলে প্রতিমন্ত্রীর সফরসূচিতে উল্লেখ রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।