বার্তা পরিবেশক

গত ০২/০৬/২০২১ তারিখ (বুধবার) কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত “দৈনিক কক্সবাজার”, “দৈনিক আজকের দেশবিদেশ”, “দৈনিক হিমছড়ি”, “দৈনিক রূপসী গ্রাম”, “দৈনিক আজকের কক্সবাজার”, ও দৈনিক দৈনন্দিন”, পত্রিকায় প্রকাশিত “প্রবাসী নারীর জায়গা ও ঘর ভাড়াটিয়া কর্তৃক জবর দখল” শিরেনামের উদ্যেশ্য প্রণোদিত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

উক্ত প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যমূলক, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বিধায় আমরা এর জোরালো প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

উক্ত সংবাদে প্রকাশিত মতে জমি বর্ণিত আলতাফ মিয়া জীবিতকালে তাহার খরিদা সমুদয় স্বত্ব মোট ৪ শতক জমি বিক্রির জন্য গত ১৫/১০/১৯৯৯ ইংরেজী তারিখের রেজিঃযুক্ত ১৫৮ নং বায়নাপত্র মূলে আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীর সহিত বায়নাবদ্ধ হন এবং তফসিলে বর্ণিত জমি নিম্মস্বাক্ষরকারীগণের বরাবরে দখল অর্পণ করেন। আমরা প্রতিবাদকারীগণ উক্ত জমি বায়না মূলে প্রাপ্ত হওয়ার পর চতুর্দিকে পাকা সীমানা দেওয়াল নির্মাণে সেমিপাকা গৃহ নির্মাণ করিয়া বায়না কাল হইতে বসবাস করিয়া আসিতেছি। আমরা প্রতিবাদকারীগন কখনো পত্রিকায় উল্লেখিত রোকেয়া বেগমের কোন ভাড়াটিয়া নই। তদ্রুপ কোন ভাড়ানামার অস্তিত্ব নাই ও ছিল না। পরবর্তীতে আলতাফ মিয়ার ওয়ারিশান উক্ত বায়না নামার কথা জানা স্বত্ত্বেও বেআইনীভাবে স্বত্ব দাবী করায় তৎ স্ত্রী মিনু নাহার গত ০১/১১/২০০৩ ইংরেজী তারিখের ২৯৪০ নং কবলা মূলে ০. ৩৩ শতক জমি প্রতিবাদকারী ফজলুল কাদের বরাবরে বিক্রি করে। আলতাফ মিয়ার স্ত্রী মোছাম্মৎ খোরশেদা বেগম তৎ নাবালক ছেলে মোঃ এমরান ও নাজমিন সুলতানা নিজ ও নাবালক পক্ষে গত ০৭/০৫/২০০৫ ইংরেজী তারিখের ১২৪৫ নং রেজিঃযুক্ত কবলা মূলে ০.৬৭ শতক জমি আমি মোঃ ফজলুল কাদের সিকদারকে বিক্রি করেন। আলতাফ মিয়ার স্ত্রী মোছাম্মৎ এনতেহারা বেগম গত ১০/০৫/২০০৫ ইংরেজী তারিখের রেজিঃযুক্ত ১২৭১ নং কবলা দলিল মূলে ০.১৮ শতক জমি মোঃ ফজলুল কাদের সিকদারকে বিক্রি করতঃ দখল অর্পণ করেন। উক্ত খরিদা জমির জন্য নামজারী বিএস ৩৩৩৯, ২৫৬৫, ২৮৭৬ নং খতিয়ান সৃজন করিয়া সন সন সরকারি খাজনা আদায় করি। উক্ত কথিত রোকেয়া বেগম গত ১১/০৮/২০০৪ ইংরেজী তারিখে চুক্তিপত্র মূলে মোঃ ফজলুল কাদের হইতে ২,৪০,০০০/- (দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা নগদ গ্রহণ করিয়াছে। উক্তরূপে উক্ত জমি প্রতিবাদকারীগণ খরিদ করিয়া তাহাতে গৃহ নির্মাণ করিয়াছেন। জমিতে স্থিত গৃহে আমি প্রতিবাদকারীর নামে পৌরসভার হোল্ডিং ও বিদ্যুৎ মিটার স্থিত রহিয়াছে। তফসিলে বর্ণিত জমি আমার খরিদা স্বত্ব দখলীয় জমি হয়। তফসিলের জমি নিয়া রোকেয়া বেগম গং বাদী হইয়া আমার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা ও ফেরবী উক্তিতে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে অপর ১২২/০৯ ইং মামলা দায়ের করেছেন। উক্ত মামলা বর্তমানে স্বাক্ষীর পর্যায়ে আছে। কিন্তু উক্ত সমুদয় বিষয় সম্পূর্ণ গোপণ করিয়া প্রকৃত স্বত্ববান ও দখলকার আমি প্রতিবাদকারীকে সম্পূর্ন বেআইনীভাবে ভাড়াটিয়া ও জবর দখলকারী হিসাবে সংবাদ প্রচার করিয়া সামাজিকভাবে সম্মানক্ষুন্ন করিয়াছেন। কথিত রোকেয়া বেগম নিজেকে ডক্টর হিসাবে পরিচয় প্রকাশ করলেও তিনি কখনো ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করিতে পারেন নাই। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভুঁয়া সংবাদ প্রকাশ করায় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উক্ত প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যমূলক, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বিধায় আমি এর জোরালো প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
পাশাপাশি মিথ্যা, উদ্দেশ্যমূলক, বানোয়াট, ভিত্তিহীন উক্ত সংবাদে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
মোহাঃ ফজলুল কাদের সিকদার ও মোছাম্মৎ সাবেকুন্নাহার সিকদার।