মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
কক্সবাজারে নির্মাণাধীন মেগা বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প গুলোর কাজ শেষ হলে বাংলাদেশের পুরো বিদ্যুতের চাহিদার এক তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ কক্সবাজার জেলাতেই উৎপন্ন হবে। কক্সবাজার হবে দেশের সবচেয়ে বৃহৎ বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ। কক্সবাজার জেলা হবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মাইলফলক।
কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের গনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের মেগা বিদ্যুৎ প্রকল্প গুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলে কক্সবাজারের সমস্ত চাহিদা মিটানোর পর জাতীয় গ্রীডে অবশিষ্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হবে। তখন কক্সবাজারে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু থাকবে। নিশ্চিত হবে শতভাগ গ্রাহক সেবা।
নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের গনি আরো বলেন, কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের অধীনে স্বাভাবিক মূল বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন ছাড়াও আরও একটি বিকল্প বিদ্যুৎ লাইন থাকবে। যাতে মূল বিদ্যুৎ লাইনে ত্রুটি দেখা দিলে বিকল্প লাইনে গ্রাহকদের আপদকালীন বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকারের অনেক পরিকল্পনা এখন বাস্তবায়নাধীন আছে। কুতুবদিয়ায় এখন শুধুমাত্র পিক আওয়ারে অর্থাৎ রাত্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হয়। কুতুবদিয়ার নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সবসময় বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়ার কাজ চলছে। প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনেও বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়ার জন্য একটি বৃহৎ সোলার প্যানেল প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রি-পেইড বৈদ্যুতিক মিটার বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের গনি বলেন, এই মিটারে গ্রাহক হয়রানি হওয়ার কোন সুযোগ নেই। প্রি-পেইড মিটারে রিডিং এর কোন ঝামেলা নেই। ওভার বিলিং বা লো বিলিং এর কোন প্রশ্ন নেই। মোবাইল ফোন সহ বিভিন্নভাবে প্রি-পেইড মিটারে রিসার্চ করা যায়। প্রি-পেইড মিটারে মোট বিলের শতকরা এক ভাগ বিল রিবেট দিয়েছে সরকার। অর্থাৎ মোট বিলের ৯৯% ভাগ বিল পরিশোধ করলে শতভাগ বিল পরিশোধ বলে গণ্য হয়। নরমাল মিটারে এ সুযোগ নেই।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।