বলরাম দাশ অনুপম :

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চলে গেলেও রেখে গেছে ক্ষত চিহ্ন। কক্সবাজার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সরাসরি আঘাত না হানলেও পড়েছে এর প্রভাব৷ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরের সৌন্দর্যবর্ধন কারী ঝাউগাছসহ বেশ কিছুর। ১৩ হেক্টর ঝাউগাছসহ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উজাড় হয়েছে ২৩ হেক্টর উপকূলীয় বনজ সম্পদ। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। আর এই সৈকতের অধিকাংশ এলাকা জুড়ে রয়েছে ঝাউগাছ। এই ঝাউগাছ শুধু বর্ধনই করে না পরিবেশ রক্ষায় ও সহায়ক। পাশাপাশি পর্যটক আকৃষ্ট করে থাকে। ঘূর্নিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে ও পূর্নিমার অতি জোয়ারে কক্সবাজার উপকূলে ১৩ হেক্টর ঝাউ বাগান উজাড় হয়েছে। ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাস আঘাত হানে কক্সবাজার সৈকত ও মেরিন ড্রাইভ সড়কের ঝাউ বাগানে। এতে কক্সবাজার সৈকতের কবিতা চত্বর, ডায়াবেটিক পয়েন্ট ও শৈবাল পয়েন্টে উপড়ে যায় ৩ শতাধিক বড় ঝাউগাছ। কক্সবাজার দক্ষিন বনবিভাগের অধিন কক্সবাজার, ইনানী, হিমছড়ি ও হোয়াইক্যং রেঞ্জের আওতায় থাকা নাজিরার টেক থেকে শামলাপুর পর্যন্ত ১৩ হেক্টর ঝাউ বাগানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিক হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন কক্সবাজার সৈকতের ঝাউবাগান শুধু মাত্র পরিবেশ রক্ষা ও সৌন্দর্য বর্ধন করে না সৈকতের ঝাউবাগান এখানকার ঐতিহ্যেরও অংশ। পর্যটকদের কাছে কক্সবাজার সৈকতের আকর্ষনের অন্যতম কারন এই ঝাউবিথী।
কক্সবাজার বাপা’র সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক ফজলুল করিম চৌধুরী দাবী জানিয়েছেন ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঝাউবাগানের স্থলে যেন দ্রুত নতুন বাগান সৃষ্টি করা হয় এবং এই ঝাউ বিথী রক্ষায় যা যা করনীয় তা যেন করা হয়। বন বিভাগ জানিয়েছে ১৯৭২-৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে কক্সবাজার সৈকত এলাকায় ঝাউ বাগান সৃজন শুরু হয়। যাতে এ পর্যন্ত ৬৭০ হেক্টর ঝাউ বাগান সৃজন করা হয়েছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নতুন করে ৩৫ হেক্টর ঝাউ বাগান সৃজনসহ পুরাতন বাগানে রোপন করা হবে ৬০ হাজার ঝাউ গাছের ছাড়া।
কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ এর প্রভাবে কক্সবাজারে ঝাউবাগানসহ ২৩ হেক্টর বন ধ্বংস হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে নিরুপন করা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় বন বিভাগের অধিনে রয়েছে আরো কিছু ঝাউ বাগান যার ক্ষতির পরিমান নির্নয়ে কাজ চলমান রয়েছে।
এর আগে গত বছর আম্পানে কক্সবাজারে ঝাউবাগারেন ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছিল।