সিবিএন ডেস্ক:
খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপির রাস্তায় নামা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া এতদিন জেলে, অথচ বিএনপির কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় সরকার তাদের এলএসডি খাইয়ে দিয়েছে।’ শনিবার (২৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘রাজনৈতিক সংকট: উত্তরণ কোন পথে’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বিএনপি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের জন্য ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। একজন মৃত ব্যক্তির জন্য ১৫ দিনের কর্মসূচি করছে, আর জীবিত খালেদা জিয়ার অবস্থা খুব খারাপ। উনার যেসব লক্ষণ দেখছি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সময় পাবেন কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আমরা দোয়া করি যেন উনি বেঁচে থাকেন। বিএনপি সত্য কথা বলতেও ভয় পায়। এটার জন্য তাদের উচিত ছিল, যেদিন থেকে সরকার তাকে বাইরে যেতে দেয়নি সেদিন থেকে অনশন করা। সেদিনই বলা উচিত ছিল কাশিমপুরে যেতে চাই, ফিরোজাতে থাকতে চাই না। ফিরোজাতে উনাকে রাখা আরেকটা ধাপ্পাবাজি। উনি কি বধির, কানে শোনেন না? ১৫ দিনের কর্মসূচিতে বিএনপির উচিত মুক্তির জন্য রাস্তায় নামা।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আজকে বিচার বিভাগ সরকার ও আইনমন্ত্রীর অনুগত হয়ে কাজ করছে। এ জন্য অনেকগুলো পরিবর্তন আমাদের দরকার। বিএনপিকে প্রমাণ করতে হবে তারা এলএসডি খায়নি। তা নাহলে তারা আত্মহত্যা করছে। এত লোক থাকার পরও তাদের চিন্তার এত দীনতা দেখি। আমরা হয়তো খালেদা জিয়াকে আর বেশিদিন পাবো না। আমি গত ৩ বছর ধরে বলে আসছি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা–মুক্ত খোলা বাতাসে হাঁটতে দেওয়া। তাহলেই উনি ভালো হবেন। কেবল ওষুধে রোগ ভালো হয় না। ওষুধের সঙ্গে জনগণের ভালোবাসা যখন উনি দেখবেন উনি তখন সুস্থ হবেন।’

বিএনপিকে কৃতজ্ঞতা জানানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা এ পর্যন্ত আসার পেছনে জিয়াউর রহমানের চেয়ে খালেদা জিয়ার অবদান বেশি। জিয়াউর রহমান অকালে প্রয়াণ করেছেন। আপনারা যখন হতাশায় ভুগছিলেন, কোনও পথ ছিল না, এই সাধারণ একজন গৃহবধূ আপনাদের একত্রিত করেছেন। আপনাদের দুইবার ক্ষমতায় এনেছেন। বিএনপির লোকেরা খালেদা জিয়ার প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে বলে আমি মনে করি। এ জন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুতে জনগণের টাকায় মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞাপন পত্রিকায় দেওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বিচার দাবি করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।