বদরুল ইসলাম বাদল

“তাজা খবর” ।”আজকের তাজা খবর”।পত্রিকার হকারদের নিত্য দিনের আওয়াজ ।সভ্যতার এই যুগে চায়ের টেবিলে একটি পত্রিকাই পারে পৃথিবীর সব ধরনের খবর জানাতে।আর সেই পৃথিবী দেখার আলোক বর্তিকা কাগজে করে নিয়ে আসে একজন হকার। যেন রহস্য ঘেরা একজন মানুষ।তিনি পত্রিকার হকার । সকালে পত্রিকাটি না পেলে যেন চায়ের স্বাদে পুর্নতা আসে না।এক কাগজে সব খবর ।দেশ, বিদেশ,রাজনীতি ,অর্থনীতি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, জনমত, স্বাস্থ্য, বিনোদন ,কলাম, আইন আদালত, খেলাধুলা ইত্যাদি ।
সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে গণমাধ্যমের এই বাহন টি মানুষের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় এবং গ্রহণ যোগ্যতা বৃদ্ধি পায় ।শুধু নগর কিংবা শহর নয় গ্রামে ও সংবাদ পাঠকের সংখ্যা অনেক।যতক্ষণ হকার পত্রিকা নিয়ে আসে না মানুষ অধির আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে। হকার সকালের পত্রিকা দুপুর কিংবা রাতে নিয়ে আসলে ও পত্রিকাটির গুরুত্ব কমে যায় না।কারণ সংবাদ পত্র হলো সমাজের আয়না ।আবার জ্ঞানের ভাণ্ডার ও বলা যায় ।কারণ বিশ্বের রাজনীতি অর্থনীতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা দর্শন বিনিময়ের সেতুর কাজ করে সংবাদ পত্র ।পুঁথিগত বিদ্যা শেষ কথা নয়।বিশ্বের কোণায় কোণায় হালনাগাদ তথ্য উপাথ্য গুলো সংবাদ পত্র সামনে নিয়ে আসে।তাই সভ্যতার এবং রুচিশীল মানসিকতার সমাজ গঠনে সংবাদ পত্রের অবদানের কথা এড়িয়ে যাবার কোন সুযোগ নাই ।
পত্রিকা যারা ফেরি করে আপাতদৃষ্টিতে কাজটি সহজ বলে মনে হলেও কিন্তু আসলে তা নয়।সাত সকালে কাক ডাকা ভোরে উঠে পত্রিকা সংগ্রহ করতে হয়।ঝড়, বৃষ্টি, শীতের সাথে লড়াই করে পত্রিকা নিয়ে গ্রাহকদের কাছে হাজির হয়।নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের হাতে পত্রিকা পৌঁছানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে হকার ।অনেক হকার পায়ে হেঁটে কিছু হকার সাইকেল নিয়ে গ্রাহকদের পত্রিকা পৌঁছায়।নিরন্তর চেষ্টা চালায় সাত সকালে পত্রিকা তুলে দেবার ।তার পর বিভিন্ন অফিস,আদালত পাড়া ,স্কুল ,কলেজ, বাসস্ট্যান্ড, শপিং মল অর্থ্যাৎ যেখানে লোক সমাগম সেখানেই ছুটে যায় পত্রিকা ফেরি করতে । চলন্ত গাড়িতে পত্রিকা বিক্রি করতে গিয়ে অনেক ঝুঁকি নিতে হয়।তবুও আপ্রাণ চেষ্টা করে তাজা খবর মানুষের কাছে নিয়ে যেতে ।বিলুপ্ত প্রায় ডাক হরকরা জীবন বাজি রেখে নিজের দায়িত্ব বোধ থেকে পাহাড়, নদী ,গাঁয়ের মেঠো পথ পেরিয়ে মানুষের খবর পৌঁছে দিত।কারণ সে জানতো তার পিটের পিছনে সরকারি রংয়ের থলের মধ্যে আছে মানুষের হাসি, কান্না, বেদনা, বিরহ গাথা চিঠি ।যার জন্য বসে আছে আগ্রহ ভরে সে চিঠির বুভুক্ষু মানুষ । আপন জনের ছোঁয়া মিশ্রিত কাগজের আশায় নির্ঘুম রাত কাটায়। কখন সুর্যের রক্তিম আলো এসে সকালের জানান দেবে আর ডাক পিওন এসে বলবে””চিঠি আছে চিঠি ।”তাই চলার পথে কোন ভয় রাখে না ।ভয়ে তড়স্থ থাকে পৌঁছানোর আগে বেলা উঠে যাবে বলে। কবি সুকান্তের ভাষায়
“রাত নির্জন পথে কত ভয় তবুও রাণার ছোটে
দস্যুর ভয়,তার চেয়ে ভয়,যখন সুর্য উঠে ।”
ডাক হরকরার মতো পত্রিকার হকার ও নিজের দায়িত্ব বোধ থেকে পত্রিকা নিয়ে ছোঁটে।সে জানে তার হাতে কিংবা সাইকেলের পিছনে আজকের তাজা খবর ।রাজনৈতিক উত্থান পতন, বিপ্লব,বিদ্রোহ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ,অগ্নি, খরা, অর্থনীতির খবর, লেখা পড়া ,বিনোদন পারিপাশ্বির্ক সবকিছু ।দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ খবর পত্রিকায় ছাপানো হলে ব্যাপক ছোটাছুটির মাধ্যমে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করে ।তাই হকার শুধু পত্রিকা বিক্রেতা হিসেবে নয় পত্রিকা বহুল প্রচার প্রসারে মার্কেটিং এর কাজ ও করে ।
প্রত্যেক পেশা সন্মানের ।পত্রিকা হকারদের অনেক সময় অপমান অবহেলার স্বীকার হতে হয়।ভদ্রতা, ভাল ব্যবহার , রুচিশীল মানুষের পরিচয় বহন করে । তাই সকলকে অসৌজন্য আচরণ থেকে বিরত থাকার মানষিকতা তৈরী করা বান্চনীয় ।এই পেশায় ও অনেক বিখ্যাত মানুষের উপস্থিতি ইতিহাসে দেখতে পাওয়া। বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক টমাস আলভা এডিসন, ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট বৈজ্ঞানিক এ পি জে আবুল কালাম আজাদ,, এবং বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নারী প্রেসিডেন্ট ফিনল্যান্ডের সানা মারিন। অর্থ কষ্ট থেকে স্কুল জীবনে পত্রিকা ফেরি করে লেখাপড়ার খরচ যোগাতেন।
গত কয়েক দিন আগে ঢাকায় মেট্রোরেলের মহড়া হল। একদম তাজা খবর। স্বাধীনতার সুবর্ণ রজতজয়ন্তী এবং মুজিব বর্যের অন্যতম তাজা খবর ।নতুন খবর।এক সাগর রক্তের বিনিময়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীদের হটিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।ভৌগলিক সীমারেখার ভিতরে কোন কিছু সুরক্ষিত ছিল না।চারিদিকে ধ্বংসস্তূপ ।।জাতির পিতা বিধ্বস্ত দেশ পূনর্গঠনে নানামুখী পরিকল্পনা হাতে নেয়।তখন পরাজিত গোষ্ঠীর অপপ্রচার জাতিকে বিব্রত করার স্বক্রিয় হয়।সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশকে নেতিবাচক মন্তব্য “তলা বিহীন” ঝুড়ি বলে তকমা লাগিয়ে রাখে তৎকালিন মার্কিন কুটনৈতিক হেনরি কিসিঞ্জার ।কিন্তু আজ স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশের অর্জন অনেক ।বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নাম লেখায় ।আকাশে লাল সবুজের পতাকা নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেটেলাইট।খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ।নানা বিধ ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে চপেটাঘাত করে নিজস্ব অর্থায়নে মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু আজ বাস্তবতা। নানা মুখী প্রকল্প আজ শেষ পর্যায়ে এবং চলমান ।কিন্তু কাজের নিরিখে প্রচারণা কম।রাজধানী কেন্দ্রীক উন্নয়ন সমূহ প্রচার হলেও জেলা উপজেলা পর্যায়ের কাজ গুলো প্রচারের মুখ দেখে না।
1971সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের খবরাখবর ফলাও করে ছাপানো হতো পত্রিকায় । যে খবর মুক্তিকামী বাঙালিদের উজ্জীবিত করতো।আর অকুতোভয় হকার ঝুঁকি নিয়ে পত্রিকা গ্রাহকদের হাতে পৌঁছে দিতো।উপনিবেশীক শাসনের বিদায়ের পর বঙ্গবন্ধু ইত্তেহাদ পত্রিকার পুর্বপাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে তিনি লিখেন “আমার কাজ ছিল এজেন্সি গুলোর কাছ থেকে টাকা পয়সা আদায় করা।,আর ইত্তেহাদ কাগজ যাতে চলে এবং নতুন এজেন্ট বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগ করা সেটা দেখা। “(পৃ88)
দেশে করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসা বাণিজ্য মৃতপ্রায় ।সাথে পত্রিকা ফেরি আগের মত চলে না।নিয়মিত পত্রিকার গ্রাহকদের অনেকেই পত্রিকা নিতে আগ্রহী নয়।বাসা বাড়ির গ্রাহকরা লকডাউনের সময় দেখা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ।আবার তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে অনেক মানুষ মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে।মোবাইলের মাধ্যমে খবর পড়ে নেওয়ায় পাঠক পত্রিকা মুখী হচ্ছে না।ফলে সংবাদ পত্রের সাথে জড়িত এজেন্ট এবং হকারদের নাজুক অবস্থা ।অর্থকষ্ট নিয়ে নানামুখী সংসারের চাপে আছে স্বল্প আয়ের এই মানুষ গুলো ।ছেলে মেয়ে সংসার নিয়ে তারাঁ অনেক কষ্টে আছে।
মুজিব বর্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানাবিধ সহযোগিতার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।দরিদ্র ভূমিহীন বিত্তহীন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন।তেমনি মানুষের খবর বয়ে বেড়ানো সল্প আয়ের হকারদের সহযোগিতার আওতায় আনা খুবই জরুরী।মাঝে মধ্যে সামান্য সহযোগিতা পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। প্রতিদিন সংবাদপত্র নিয়ে ছোটাছুটি করা হকারদের তালিকা করে করোনা কালীন সময়ে তথ্য মন্ত্রনালয় বা জেলা প্রশাসন চাইলে সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারেন।সরকার সর্ব ক্ষেত্রে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।দেশ বিদেশের খবর ফেরী করা হকারদের খবর কেউ রাখে না।তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যত । তথ্য উপাথ্যের আলো নিয়ে পিদিমের মত ঘুরে বেড়ানো মানুষদের জীবনে কোন আলোর রশ্মি নাই।যেন প্রদীপের নিচে অন্ধকার ।হকারদের হাতের পত্রিকা দিয়ে আমরা পৃথিবী দেখি কিন্তু কবির ভাষায়
“দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া।” তেমনি আমাদের চোখের সামনের মানুষ গুলোর অভাব অভিযোগ সুখ দুঃখ চোখে পড়ে না।দেখে ও দেখি না।
অনেক হকারদের নিজের কোন বাড়ি নাই ।ভাড়া বাসার ভাড়া টানতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে ।তাই যাচাই বাচাই করে আশ্রয় হীন হকার ভাইদের কিছু ঘর দেয়া যেতে পারে । মুজিব বর্য এবং স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীর উদযাপনের সাথে তথ্য মন্ত্রনালয় চাইলে হকার ভাইদের সম্পৃক্ত করতে পারে ।যা অন্যন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে ।যেমন
(ক)হেঁটে যেতে হয় বলে অনেক সময় গ্রাহকের কাছে টিক সময়ে পত্রিকা পৌঁছাতে দেরি হয়।তাই উপহার হিসেবে সাইকেলের ব্যবস্থা করা যেতে পারে ।
(খ)তাদের পরিধানের কাপড়ের উপরে মুজিব বর্যের লোগো সম্বলিত একটি হাতকাটা কোট।যার পিছনে লেখা থাকবে “খবরের কাগজ ” ।যাতে চলার পথে জনগণ বুঝতে পারে উনি পত্রিকা বিক্রেতা ।আজকাল গ্রামের মানুষের প্রতিদিন শহর উপশহরে আসা যাওয়া ।সবাই সল্প সময় হাতে নিয়ে জরুরি কাজ নিয়ে আসে ।তাই ইচ্ছে থাকার পর ও পত্রিকার দোকানে গিয়ে পত্রিকা নেয়ার সুযোগ থাকে না।তখন রাস্তা কিংবা স্টেশনে হকার দেখতে পেলে পছন্দ সই পত্রিকা সংগ্রহ করবে ।
(গ)আর একটি কেপ বা টুপি।(ঘ) ছাতা।
তথ্য মন্ত্রনালয় বা মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয় চাইলে হকারদের তালিকা করে সহযোগিতার আওতায় নিয়ে আসা হলে উপকৃত হবে ।পেশার প্রতি নিজের দায়িত্ব বেড়ে যাবে।পত্রিকা বিক্রি প্রসার হবে ।মুজিব বর্ষের সংবাদ বহুল প্রচার পাবে ।
35 বছরের উপর পত্রিকা ফেরির পেশায় জড়িত মোস্তাফা কামাল ।কক্সবাজার হকার কল্যাণ সমিতির সভাপতি ।তিনি বলেন এই পেশার প্রতি এখন তাদের অনীহা চলে আসছে।।অনিশ্চিত ভবিষ্যত তাদের ।মায়া থেকে পেশা ছাড়তে পারছে না।তিনি বলেন মহামারীর লকডাউনের কারণে অনেক হকার বাড়িতে চলে গেছে।প্রযুক্তির উন্নয়নে মানুষ ইন্টারনেটে পত্রিকা পড়ে নিচ্ছে।আয় রোজগার কমে যাবার কারণে অনেক হকার ফিরে আসতে চাইছে না।তাই তালিকা ভুক্ত করে হকারদের সহায়তার আবেদন জানান সজ্জন হকার মোস্তাফা কামাল ।
“বিজ্ঞান আর্শীবাদ নাকি, অভিশাপ “দীর্ঘ দিনের এই বিতর্ক ঘিরে থাকা প্রশ্নে একজন শিক্ষাবিদ প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর নির্ভরতার প্রতি আলোকপাত করেন। তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে চিন্তাশীল সমাজ আতঙ্কিত ।বিজ্ঞানের নতুন সংযোজন মোবাইল প্রযুক্তির বিস্ময় ।আবার অপব্যবহার আশংকার।যাহা ইতিমধ্যে উঠতি প্রজন্মের অভিভাবক এবং সমাজ বিজ্ঞানীদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগছে।যুবকদের নৈতিক অবক্ষয়ের কারণ মোবাইলের অপব্যবহার। পাঠক সমাজ পত্রিকা বিমুখ। দীর্ঘ সময়ে মোবাইলে মগ্ন থাকা মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর।তাই পত্রিকার পাঠক এবং পড়ুয়াদের সংবাদ পত্রে ফিরিয়ে আনতে তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিবিধ প্রচারণা চালানো দরকার। বরিশালের একজন সাবেক অধ্যাপক ইসহাক শরিফ ।চট্টগ্রাম বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর।তিনি কলেজের চাকরি থেকে অবসরের পর বর্তমানে রাস্তায় রাস্তায় পত্রিকা ফেরী করেন।সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে পত্রিকা বিমুখ পাঠকদের পত্রিকা হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ।সাদা মনের মানুষ অধ্যাপক ইসহাক শরিফের মতে-“আমাদের সমাজ ও চিন্তা কে সুস্থির,সাবলীল ও ইতিবাচক করতে হলে জ্ঞান ও তথ্যের বিকল্প নাই “।তাই এই গণমাধ্যমকে গতিশীল করার জন্য রাষ্ট্র কে ওএগিয়ে আসতে হবে।জনগণ কে সচেতন করার জন্য প্রচারণার দায়িত্ব নিতে হবে । সংবাদ পত্র নিয়ে মাঠে থাকা যোদ্ধা হকারদের প্রতি সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া দরকার বলে মনে করেন বিজ্ঞ সমাজ ।

 

লেখক: কলামিষ্ট এবং নব্বই দশকের সাবেক ছাত্র নেতা । badrulislam2027@gmail