সিবিএন ডেস্ক:

আজ বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান “বৌদ্ধ পূর্ণিমা”। এই উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ এর উদ্যোগে জাতীয় সম্মিলিত প্রতীকী শান্তি শোভা যাত্রা করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডঃ হাসান মাহমুদ। রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডাঃ উত্তম কুমার বড়ুয়া সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ছোট্ট পরিসরে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাষ্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির মহাসচিব নির্মল চ্যাটার্জি, ডঃ বিমানচন্দ্র বড়ুয়া, নেত্রসেন বড়ুয়া, ডঃ জনন্নাথ বড়ুয়া, দোলন বড়ুয়া উদাযপন কমিটির সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া, মহাসচিব ডালিম কুমার বড়ুয়া সহ বৌদ্ধ নেতৃবৃন্ধরা।

উক্ত সংগঠনের সাধারন সম্পাদক প্রসেনজিৎ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের আশির্বাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া বোধিজ্ঞান ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ আশিন জিনরক্ষত মহাথের।

সংগঠনের সভাপতি ডাঃ উত্তম বড়ুয়া বলেন, এই দিনে ভগবান বুদ্ধ জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বান বা মহাপ্রয়ান হয়েছিল তাই এই দিনটা বুদ্ধ পূর্নিমা হিসেবেই বৌদ্ধরা আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করে থাকেন। আর আমরা প্রতি বছর দিনটাকে শুভাযাত্রাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করে থাকি।

বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া বলেন, এই করোনা মহামারীর সময়েও জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার সরকার বুদ্ধ পূর্নিমা উপলক্ষে অনুদান ও সহযোগীতা দিয়েছেন। তারজন্য বৌদ্ধবাসীর পক্ষ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ।

বৌদ্ধ পূর্নিমার তাৎপর্য সম্পর্কে ও আওয়ামীলীগ সরকারের পক্ষ থেকে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য প্রাণপন চেস্টা করে যাচ্ছেন। আওয়ামীলীগ সরকারের সময় দেশের বৌদ্ধদের জন্য যেসব অবদান তিনি রেখেছেন তা এযাবৎ কালে কোন সরকার করতে পারেনি।

প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডঃ হাসান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ অসম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। আমাদের পরিচয় বাঙ্গালী। কিন্তু একটি মহল প্রথমে পরিচয় খোজে কে মুসলিম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান। তারপর খোঁজে সে বাঙ্গালী না পাকিস্তানী। আবার তখন বাঙ্গালী পরিচয় দিতেও তারা দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, সকল ধর্মে মানুষের কল্যাণের কথা বলা হয়। কিন্তু বৌদ্ধ ধর্মে এক ধাপ এগিয়ে সকল প্রানীর কল্যাণের কথা বলা হয়ে থাকে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেসে নিজ ধর্মের কাছে বর্তমানে করোনা পেন্ডামিক থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করুন এবং চলমান যশ নামের ঘূর্নিঝড় থেকে যেন বাংলাদেশ রক্ষা পায় সেই জন্য সবাই দোয়া ও প্রার্থনা করুন।