চট্টগ্রাম সংবাদদাতা:
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ এনডিসি বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের অতন্দ্র প্রহরী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার কারণে আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম লাল সবুজের বাংলাদেশ পেয়েছি।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অবিস্মরণীয়। এ দেশ স্বাধীন না হলে আমারা আজ এ পর্যায়ে আসতে পারতাম না। তাই স্বাধীন বাংলাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান চির অম্নান হয়ে থাকবে।

চাকুরী জীবনে যখন যে অবস্থানে থেকেছি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও করে যাবো। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ কখনো শোধ করা যাবেনা, অনুভব করা যায়। তাঁদের নিকট থেকে সংবর্ধনা গ্রহণের বিষয়টি সারাজীবনের জন্য অনন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

এ সম্মান সর্বোচ্চ সম্মান ও ভবিষ্যতে কর্মজীবনে আরো বেশি সাহস যুগাবে। যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে নিজেকে নিয়োজিত রাখার পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অন্তরের অন্তস্থলে ধারণ করবো।

২৪ মে ২০২১ ইংরেজি সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ড কর্তৃক বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পদোন্নতিজনিত (সচিব) বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি নিজের ও পরিবারের জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের উপস্থিত সংসদের অধীন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দরা ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী দিয়ে বিভাগীয় কমিশনারকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করেন।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বাল্য জীবন ও চাকুরী জীবনে চট্টগ্রামের সাথে আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে চট্টগ্রাম আসার কিছুদিন পর থেকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করার মাধ্যমে অন্যান্য স্থানের তুলনায় চট্টগ্রাম বিভাগে কোভিড পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। চট্টগ্রামবাসী আমাদেরকে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করার ফলে করোনার প্রথম ঢেউয়ের পরে দ্বিতীয় ঢেউ অতিক্রম করেছি।

এ পরিস্থিতিতে যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছে তাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত উপহার সামগ্রী প্রদানের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আগামীতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের মহাসড়কে সবাইকে সামিল হওয়ার আহবান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিদায়ী বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ এনডিসি সার্বক্ষণিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছেন।

আলাদাভাবে কোভিড টেস্ট ও ভ্যাকসিন প্রদানের ব্যাপারেও তিনি অগ্রনী ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়া চট্টগ্রামে কর্মকালীন সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করেছেন সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত এই কমিশনার। আগামীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনীদের সরকারী চাকরীতে নিয়োগের বিষয়ে বিদায়ী এই কর্মকর্তার কাছে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে থানা কমান্ডারদের পক্ষে বক্তব্যে রাখেন আকবর শাহ থানার ডেপুটি কমান্ডার মোঃ নুর উদ্দিন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি।

উপস্থিত ছিলেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার এফ.এফ আকবর খান, কোতোয়ালী কমান্ডার সৌরিন্দ্র নাথ সেন, চান্দগাঁও কমান্ডার মোঃ কুতুব উদ্দিন, পাঁচলাইশ কমান্ডার আহমদ মিয়া, বাকলিয়া কমান্ডার আলী হোসেন, খুলশী কমান্ডার মোঃ ইউসুফ, আকবর শাহ কমান্ডার মোঃ সেলিম উল্লাহ, পাহাড়তলী কমান্ডার হাজী জাফর আহমদ, হালিশহর কমান্ডার মোঃ ইউনুস, ইপিজেড কমান্ডার আবুল কালাম, বন্দর কমান্ডার কামরুল আলম জতু, পতেঙ্গা কমান্ডার জাকির হোসেন, সদরঘাট কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ, এস.এম ময়নূল হোসেন, আবদুর রব কায়েস, মোঃ আবুল কাশেম, মোঃ এয়াকুব, শামসুল আলম, রফিকুল ইসলাম মানিক, গোলাম নবী, রমজান মিয়া, প্রশান্ত সিংহ, রঞ্জন সিংহ, হেলাল উদ্দিন, আমির আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু ও সদস্য সচিব কাজী মুহাম্মদ রাজীশ ইমরান প্রমুখ।