সিবিএন ডেস্ক:
সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ আউয়ালের আরেক ভাড়াটে খুনি মো. মনির ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। রবিবার (২৩ মে) রাত আড়াইটার দিকে পল্লবীর সাগুফতা হাউজিং এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিমের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সে নিহত হয়।

পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার এসআই বুলবুল জানান, মনির বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। থানা থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি টিম গিয়েছে। তারা এখন সেখানে অবস্থান করছে। নিহতের সুরতহাল তৈরি করছে।

নিহত মনির রাজধানীর পল্লবীতে সন্তানের সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিবাগত রাতে পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় একই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. মানিক র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়।

গত ১৬ মে বিকালে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের মীমাংসার কথা বলে সাহিনুদ্দিনকে পল্লবী থানার ডি-ব্লকের একটি গ্যারেজের ভেতর নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর একটি ভিডিও ভাইরাল হলে দেখা যায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত মনির সাহিনুদ্দিনকে এলোপাথাড়ি কোপাচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে গত ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আকলিমার অভিযোগ, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের এমডি এবং লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়ালের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা শাহীনকে হত্যা করেছে। আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেওয়ায় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

একই ঘটনায় এর আগে সাবেক এমপি এম এ আউয়ালকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (২০ মে) ভৈরব থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এম এ আউয়াল ওই হত্যাকাণ্ডের মূলপরিকল্পনাকারী ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি বলেও র‌্যাব জানায়।