মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

পুরো উখিয়া উপজেলা রোববার ২৩ মে থেকে ৩০ মে রোববার পর্যন্ত ৮ দিন কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। কঠোর নিয়ন্ত্রণ চলাকালে কোভিড-১৯ বিষয়ক সরকারের সকল বিধি নিষেধ সকল পর্যায়ে মানতে বাধ্য করা হবে।

উখিয়ার ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ সিবিএন-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ সিবিএন-কে আরো জানান, এসময় উখিয়া উপজেলায় কোন মানুষ বাহির থেকে এসে প্রবেশ করতে পারবেনা। আবার উখিয়া উপজেলা থেকে কোন মানুষ কঠোর নিয়ন্ত্রণ চলাকালে বাইরে যেতে পারবেনা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে উখিয়া উপজেলার সকল সীমান্ত ও উপজেলার সর্বত্র আইনশৃংখলা বাহিনী রাতদিন বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কাজ করবে বলে জানান- ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে সরাসরি কোন বাস চলাচল করতে পারবেনা। ঔষুধ ও অত্যাবশ্যকীয় দোকান ব্যাতীত বিকেল ৫ টার পর কোন দোকান খোলা রাখা যাবে না।

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ চলাকালে ক্যাম্প সমুহে জরুরী বিষয় ছাড়া সবকিছুর যাতায়াত বন্ধ থাকবে। এসময় ক্যাম্প থেকে কোন শরনার্থী বা স্থানীয় মানুষ বাহির থেকে এসে ক্যাম্পে প্রবেশ করতে পারবেনা। আবার ক্যাম্প থেকে কোন স্থানীয় মানুষ বা শরনার্থী লকডাউন চলাকালে বাইরে যেতে পারবেনা। একইভাবে এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পে শরনার্থীরাও আসা যাওয়া করতে পারবেনা।

কঠোর নিয়ন্ত্রণ চলাকালে জরুরী ও অত্যাবশ্যকীয় কর্ম, খাদ্য, চিকিৎসা ব্যতীত এনজিও, আইএনজিও, জাতিসংঘের সংস্থা সহ ক্যাম্প সমুহে কর্মরত সংশ্লিষ্ট সকলের গাড়ি চলাচল ও আসা যাওয়া কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আগে গৃহীত কার্যক্রম সমুহও আরো জোরদার করা হয়েছে।

ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ এর কাছে করোনা সংক্রামণ প্রতিরোধে গৃহীত প্রক্রিয়াটা’কে ‘লকডাউন’ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন-‘লকডাউন নয়, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সরকারের জারীকৃত বিধিমালার যথাযথ ও কঠোর প্রয়োগ’। তিনি বলেন, সম্প্রতি রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প ও উখিয়ায় করোনা সংক্রামণ আশংকাজনক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় জেলা করোনা সংক্রামণ প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে কঠোর নিয়ন্ত্রণের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, শুক্রবার ২১ মে পর্যন্ত উখিয়া উপজেলায় কক্সবাজার জেলার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১হাজার ৮৮৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তারমধ্যে স্থানীয় নাগরিক ১ হাজার ১১০ জন এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী ৭৭৪ জন।