চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কাকারা-মানিকপুর সড়কে গাছের ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৭/৮ জনের একটি ডাকাতদল বন্দুকের ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও চারটি মোবাইল সেট কেড়ে নেয়। এ ঘটনায় দুইজন মোটর সাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন।

বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের মানিকপুর অংশের পুইট্যারচরা এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতের কবলে পড়া আমিরুল ইসলাম দুলু বাদি হয়ে ৮ জনকে অজ্ঞাতামা দেখিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

আহতরা হলেন, উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের কালা সিকদার পাড়া এলাকার মৃত আবু তাহের ছেলে ও পৌর শহরের বাঁশঘাটাস্থ শাহ ওমর ওর্য়াকসপের স্বত্বাধিকারী আমিরুল ইসলাম দুলু (৫৫) ও তার শ্যালক আদীল উল আজিম (৫০)। ঘটনার পরে পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম খবর পেয়ে আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন।

আহত আমিরুল ইসলাম দুলু বলেন, বুধবার রাত ১১টার দিকে আমি ও আমার শ্যালক জায়গা-জমি পরিমাপ বিষয়ে মোটরসাইকেল যোগে মানিকপুর যাচ্ছিলাম। প্রতিমধ্যে মানিকপুর সড়কের পুইট্যারচরা নামক এলাকায় পৌছলে একটি ডাকাতদল সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দেয়।

এসময় আমাকে ও আমার শ্যালককে বেধড়ক মারধর করে মোটরসাইকেল চাবি নিয়ে ফেলে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা ও চারটি মোবাইল সেট কেড়ে নেয়। এছাড়াও আমার পর আরও বেশ কয়েকটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আটকিয়ে তাদেরও মারধর করে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ডাকাত দলের সদস্য আনুমানিক ৭-৮ জন হতে পারে। তাদের হাতে দেশীয় তৈরি বন্দুক দেখা যায়। এছাড়া দেশীয় তৈরি ধারালো কিরিছ, ছুরি ও হাতুড়ি ছিল ডাকাত দলের হাতে। প্রায় ঘণ্টা খানেক পরে বিষয়টি প্রচার হলে পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল থেকে আমাদের উদ্ধার করেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ পাঠানো হয়। ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতির প্রচেষ্টা করছিল। তবে ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি।