সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯০ সালকে “যুব দশক” ও ১৯৮৫ সালকে “আন্তর্জাতিক যুব বর্ষ” ঘোষনা করে। উন্নয়ন কর্মসূচীতে যুবকদের সম্পৃক্ত করতে ব্যাপক প্রচারনার ব্যবস্থা নেয়া হয়। এমনি প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার কয়েকজন সমাজ সচেতন যুবক একটি উন্নয়ন সংগঠন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এলাকার যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ ও সংগঠিত করে।
আর এভাবেই “১৯৮৫ সালের ২০ মে, সচেতন যুবকদের সক্রিয় উদ্যোগে স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন “ইপসা” (ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন)’র উন্নয়ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণের পদযাত্রা শুরু হয়।”
স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন “ইপসা” (ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন) ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি অনুসরণ করে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে ছিলঃ ধারণা পত্র উপস্থাপন,ইপসা’র ৩৬ বছর অগ্রগতি উপস্থাপন, আলোচনা সভা, ইপসার উত্তরোত্তর সাফল্য এবং সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত, প্রধান কার্যালয়ের সাথে ভার্চুয়াল লাইভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ।
বৃহস্পতিবার (২০ মে, ২০২১) বিকেল তিনটায় কক্সবাজার কার্যালয়ে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচীসমূহ পালন করা হয়।কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এক আলোচনা সভা কক্সবাজার কার্যালয়ের হল রুমে ইপসার উপ-পরিচালক ও কক্সবাজার আঞ্চলিক প্রধান খালেদা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
ইপসার কক্সবাজার ফোকাল পার্সন মোহাম্মদ হারুনের সঞ্চালনায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন নাজমুল বরাত রনি,(প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর ট্রেনিং এন্ড ক্যাম্পেইন)।
ইতিহাসের খসড়া থেকে (ইপসা’র এগিয়ে যাওয়ার গল্প) পাঠ করে শুনান প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ জসিম উদ্দিন।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- ফাইনান্স ম্যানেজার
এনায়েত মওলা, প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডঃ সৌরভ সাখায়াত, হোসনে আরা রেখা, জয়নাল আবেদিন, আবু তাহের প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ইপসা চট্টগ্রামের গণমানুষের কণ্ঠস্বর। মানুষের জীবন মানের স্থায়িত্বশীল উন্নয়নে ইপসা’র প্রতিটি কার্যক্রম সকলের কাছে আজ প্রশংসিত এবং গ্রহণযোগ্য। আগামী দিনেও ইপসা যাতে আরও ব্যাপক পরিধি নিয়ে উন্নয়ন কার্যক্রমকে সফলতার সাথে তরান্বিত করতে পারে তার জন্য সকলের সহযোগিতা এবং আন্তরিকতা অব্যাহত থাকবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এরপর প্রধান কার্যালয়ের সাথে কক্সাবাজার ইপসা আঞ্চলিক অফিস থেকে ফেসবুক লাইভ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা হয়। ফেসবুক লাইভ শেষে কেক কেটে ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
কর্মসূচীর সমাপনীতে ইপসা’র উত্তরোত্তর সাফল্য এবং সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আঞ্চলিক প্রধান ও উপ পরিচালক খালেদা বেগম দিনের সমাপনীতে সকল ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
ইপসা’র ৩৬ বছর প্রতিষ্ঠার কর্মসূচীতে বিভিন্ন প্রকল্পের সহকর্মীবৃন্ধ ও শুভাকাক্ষীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।