বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
ঝড়ে ভিজা আর রোদে পুড়ানো ছাড়া কোথাও আশ্রয় নেওয়ার মতো জায়গা ছিল না ছনুয়া মনুমিয়াজী জেটিঘাটে ডেনিস বোটের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের। এখন আর এই প্রতিকূল পরিবেশের মুখোমুখি হতে হবে না। ছনুয়া মনুমিয়াজী জেটিঘাটে স্থাপন হতে যাচ্ছে অত্যাধুনিক যাত্রী ছাউনি। যেখানে থাকবে উন্নত মানের বাথরুম,গোসলের ব্যবস্থা, ছনুয়া সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য খাবারের হোটেল, যাত্রীদের বসার স্থান সহ আরো নানান সুবিধা।

বুধবার (১৯ মে) বেলা ১২টায় যাত্রী ছাউনি স্থাপনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের একটি টিম ছনুয়া মনুমিয়াজী জেটিঘাটে জায়গা পরিদর্শন ও পরিমাপ করতে আসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী অপু বড়ুয়া, বাঁশখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি লায়ন মো. আমিরুল হক (এমরুল কায়েস), ছনুয়া ৪নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রেজাউল করিম, ৫নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুল ওয়াছেক ছুট্টু, ছনুয়া মনুমিয়াজী জেটিঘাটের ইজারাদার নাছির উদ্দিন, আ.লীগ নেতা মোহাম্মদ ফোরকান,শামসুল আলম প্রমুখ।

এদিকে স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫০ বছর পর যাত্রী ছাউনি নির্মাণ হচ্ছে জেনে বেজায় খুশি ছনুয়া ও দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার বাসিন্দারা।

জানা যায়, কুতুবদিয়া চ্যানেলের ছনুয়া জেটিঘাট থেকে কুতুবদিয়া ধূরুং ঘাট পর্যন্ত যাত্রী সেবা প্রদান করে মাত্র দুটি ডেনিস বোট। আর দুটি ডেনিস বোট ওপার থেকে ছেড়ে আসা পর্যন্ত ছনুয়া জেটিতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। যার কারণে রোদে পুড়তে হয়, আর বৃষ্টিতে ভিজতে হয় অপেক্ষমাণ যাত্রীদের। তাঁদের বসার কোন জায়গা নেই। বিষয়টি বাঁশখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি লায়ন আমিরুল হক এমরুল কায়েস চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ সালামকে অবহিত করেন।

ছনুয়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুল মালেক এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘শুনেছি এমরুল কায়েস ভাইয়ের প্রচেষ্টায় জেলা পরিষদের অর্থায়নে ছনুয়া মনুমিয়াজী জেটিঘাট সংলগ্ন একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ হচ্ছে। আমরা এমরুল ভাইয়ের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। জনপ্রতিনিধি না হয়েও যে এলাকার উন্নয়ন করা যায়। এমরুল ভাই সেটার অন্যতম উদাহরণ।’

উল্লেখ্য, বাঁশখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি লায়ন মো. আমিরুল হক এমরুল কায়েস জেলা পরিষদের অর্থায়নে ছনুয়া ইউনিয়নে নানা উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন। তৎমধ্যে ছেলবন খেয়াঘাট যাত্রী ছাউনি, ডিসি রোড, আলহাজ্ব মৌলভী নজরুল ইসলাম সড়ক, অলিমিয়া সিকদার সড়ক, ছনুয়া ওয়াপদা সড়ক, আশরাফ আলী সড়ক, শরিফা খানম সড়ক সহ আরো অসংখ্য সড়ক।

এদিকে ছনুয়ার বাসিন্দারা চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।