সিবিএন ডেস্ক:
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে শনাক্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩২ জন। যা কিনা তার আগের দিনের চেয়ে বেশি। রবিবার (১৬ মে) ২৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া আগের দিনের চেয়ে শনাক্তের সংখ্যাও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর রবিবার ৩৬৩ জনের করোনা শনাক্তের তথ্য জানানো হয়েছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩২ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১২ হাজার ১৮১ জন। আর নতুন শনাক্ত হওয়া ৬৯৮ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলেন সাত লাখ ৮০ হাজার ৮৫৭ জন। এ হিসেবে আজ দেশে করোনা শনাক্ত হওয়া রোগী সাত লাখ ৮০ হাজারও ছাড়িয়ে গেলো।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫৮ জন। এদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হলেন সাত লাখ ২৩ হাজার ৯৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ১০ হাজার ৫০৯ টি, আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজার ৩৪৭টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৭ লাখ ১৮ হাজার ৬৩টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩৩টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৫ লাখ ২৯ হাজার ৩৩০টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ছয় দশমিক ৭৫ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৬ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে ৪৬৬টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে ১২৮টি পরীক্ষাগারে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে, জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে ৩৭টি পরীক্ষাগারে এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ৩০১টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩২ জনের মধ্যে পুরুষ ২৩ জন, নারী ৯ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন আট হাজার ৮২০ জন আর তিন হাজার ৩৬১ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চার জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিন জন আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন।

বিভাগ ভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা বিভাগে দুই জন করে, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে আর সিলেট বিভাগে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।

মারা যাওয়া ৩২ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১১ জন আর বাড়িতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।