মোজাম্মেল হক, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী):
দক্ষিণ জনপদের কর্মজীবী মানুষ স্বজনদের সঙ্গে ঈদু কাটিয়ে গাদাগাদি করে ঝুঁকি নিয়ে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরিতে নদীপার হয়ে ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় ফিরতে শুরু করেছে।
সোমবর(১৭মে) সকাল থেকেই শত শত যাত্রী দৌলতদিয়া ফেরী ঘটে আসতে শুরু করেছে।
আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে ফেরিতে নদী পার হচ্ছে শত শত ঢাকা মুখী মানুষ সেই সাথে পার করা হচ্ছে পন্যবাহী ট্রাক জরুরী সেবার এ্যাম্বলেন্স, ব্যাক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল । লকডাউনের কারনে দুরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় যাত্রীদের গন্তব্যে স্থানে যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সে কারনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যারযার গন্তব্য স্থানে ফিরছেন তারা।
কুষ্টিয়া থেকে আগত ঢাকা কর্মস্থল মুখী রাজিব বলেন, আজ ঢাকায় না গেলে আমার চাকরি থাকবে না। আমি নারানগন্জে একটি পোশাক কারখানায় চাকরী করি। তাই করোনার সংক্রমনের ঝুকি মাথায় নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছি।
মাদারীপুর থেকে আগত ঢাকা মুখী যাত্রী লাইলী বেগম বলেন, আমি ঢাকায় একটি মেসে রাধুনির কাজ করি। আজ যদি না যাই তাহলে তারা তাদের রান্না করার জন্য অন্য মহিলাকে নিয়ে নিবে।তখন আমি বেকার হয়ে গেলে কি করে খাবো। সে কারনে আমি করোনা ভাইরাস কে ভয় পাচ্ছি না। আমাকে আজই ঢাকায় যেতেই হবে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক ফিরোজ খান বলেন, ঘাটে ঢাকা মুখী যাত্রীদের প্রচন্ড চাপ রয়েছে তবে ছোট বড় মিলে ১৫ টি ফেরী চলাচল করছে। সেই সঙ্গে পন্যবাহী ট্রাক জরুরী সেবার এ্যম্বলেন্স সহ যাত্রীদের সঙ্গে পারাপার করা হচ্ছে । দৌলতদিয়া প্রান্তে যাত্রী ও ছোট যানবাহনের কিছুটা চাপ রয়েছে।