এম.জিয়াবুল হক ,চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলার মানিকপুরে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে দুইটি দোকান ও একটি বসতঘরে হামলা চালিয়েছে অস্ত্রধারী ডাকাতদল। এসময় স্থানীয় জনতা এগিয়ে আসতে চাইলে অস্ত্রধারীরা ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে। ঘটনার সময় ডাকাতদের পিটুনিতে অন্তত চারজন আহত হয়েছে। রবিবার ১৬ মে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বড়–য়াপাড়া টেক এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম।

আক্রান্ত দোকানী ও বসতবাড়ির গৃহকর্তার বরাত দিয়ে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, রবিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে তিনটি সিএনজি অটোরিক্সা যোগে ৭-৮জনের অস্ত্রধারী প্রথমে হানা দেয় মধ্যম মানিকপুর ৩ নং ওয়ার্ডের মিয়াজিপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম প্রকাশ লালুর বাড়িতে। ওইসময় তাঁরা বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল সেট ও বেশ কিছু মালামাল লুটে নিয়ে যায় বলে দাবি করেন গৃহকর্তা লালু।

ইউপি মেম্বার কামাল উদ্দিনের পাশে থাকা গৃহকর্তা রেজাউল করিম লালু মুঠোফোনে বলেন, ঘটনার সময় আমি বাড়ির পাশে স্টেশনে দোকানে ছিলাম। আমার মায়ের শোর-চিৎকারে বাড়িতে গেলে অস্ত্রধারীরা আমাকেও জিন্মি করে ফেলে। ওইসময় তাঁরা আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। ঘটনার পর ডাকাতদল আমার বাড়ির নিকটে স্টেশনে গিয়ে দ্বিতীয়দফা হানা দেয়।

ইউপি মেম্বার কামাল উদ্দিন জানান, অস্ত্রধারীরা বড়–য়াপাড়া টেক এলাকা স্টেশনে হানা দিয়ে আবুল হাশেমের মুদির দোকান ও আবদুল খালেকের চায়ের দোকানের ক্যাশ থেকে সারাদিনের বিক্রির টাকা লুটে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অস্ত্রধারীরা গুলি বর্ষণ করতে করতে পালিয়ে যায়। তবে স্টেশনে হানা দেয়ার মুর্হুতে দোকানে বসে থাকা দেলোয়ার হোসেন (৪৫), রনব বড়–য়া (২৫) ও নুর মোহাম্মদ (২৬) ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজনকে মারধর করে।

আক্রান্ত বাড়ির গৃহকর্তা রেজাউল করিম লালু জানান, ঘটনার সময় তিনজন ডাকাতকে তিনি চিনতে পেরেছেন। তাদের মধ্যে একজন বাহাদুর ডাকাত। তাঁর বাড়ি চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের বুড়িপুকুর এলাকায়।

রাত ১১টার দিকে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, ঘটনার ব্যাপারে চকরিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পুলিশও ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে রওয়ানা দিয়েছে।

এদিকে ঘটনার খবরপেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন চকরিয়া থানার অপারেশন এসআই মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটিদল। ঘটনাস্থল থেকে এসআই মোজাম্মেল হক বলেন, এটি ডাকাতির ঘটনা নয়। মুলত আগেরদিন দুইপক্ষের মধ্যে একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন ভাড়াটিয়া লোক জড়ো করে আক্রান্তপক্ষের উপর দ্বিতীয়দফা হামলা করেছে।

তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আহনী প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।