স্পোর্টস ডেস্ক
এক মৌসুম আগে লা লিগায় সবশেষ শিরোপা জিতেছিল বার্সেলোনা। গতবার তো তাদের রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। আর এবার শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে থেকে হতাশই করেছে কাতালানরা। লা লিগায় ৩৭তম ম্যাচে এসে সেল্টা ভিগোর কাছে ২-১ গোলে হেরে শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছে কোম্যানের দল। অন্য ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদ পিছিয়ে থেকে ২-১ গোলে ওসাসুনাকে হারিয়ে শীর্ষস্থান অক্ষুন্ন রেখেছে। এখন লিগের শেষ ম্যাচ জিততে পারলেই সিমিওনির দলের হাতে উঠবে শিরোপা। তবে এদিন রিয়াল মাদ্রিদ ১-০ গোলে আতলেতিকো বিলবাও কে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে ঠিকই টিকে রইলো।
৩৭ ম্যাচে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে দিয়েগো সিমিওনের দল আতলেতিকো। ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে জিনেদিন জিদানের রিয়াল। ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে আগের মতো তৃতীয় স্থানে রোনাল্ড কোম্যানের বার্সেলোনা।

বার্সেলোনা-সেল্টা ভিগো
ক্যাম্প ন্যুতে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। বল দখলে এগিয়ে থেকে প্রথম গোলও করেছে। ২৮ মিনিটে বুসকেটসের মাপা ক্রসে লিওনেল মেসি হেডে গোলকিপারের পাশ দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। মেসির সামনে একজন ডিফেন্ডার থাকলেও আটকাতে পারেননি। লা লিগায় ৩০ গোল মেসির।
৩৮ মিনিটে সেল্টা ভিগো ম্যাচে সমতা আনে।সতীর্থের ক্রস থেকে সান্তি মিনা বক্সের বাইর থেকে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন।
বিরতির পর বার্সেলোনা চাপ ধরে রেখেও গোল করতে পারেনি। উল্টো লেংলে লাল কার্ড দেখে মাঠে বাইরে গেলে শেষ কয়েক মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়েছে।
এই সুযোগে সান্তি মিনা দলকে তিন পয়েন্ট এনে দেন! সতীর্থ একজনের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে ফিরতি বলে সান্তি মিনা গোল করে বার্সাকে হারিয়ে দেন। নতুন চুক্তি না হলে মেসির হার দিয়ে হয়তো বার্সা অধ্যায় শেষ হবে।

আতলেতিকো মাদ্রিদ-ওসাসুনা
ওসাসুনার বিপক্ষে শুরু থেকে ৮০ ভাগ বল দখলে রেখে খেলেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। আক্রমণও কম হয়নি। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের প্রথমার্ধে গোল পাওয়া হয়নি।
২১ মিনিটে সুয়ারেজের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে গোল পাওয়া হয়নি আতলেতিকোর। এর আগে তার অন্য গোলের প্রচেষ্টাও সফল হয়নি। এছাড়া ৪১ মিনিটে হেরেরার ক্রসে সুয়ারেজ পারেননি লক্ষ্যভেদ করতে।
বিরতির পর অবশ্য ওসাসুনা এগিয়ে যায়। ম্যাচের তিনটি গোলই হয়েছে শেষ ১১ মিনিটে। এই অর্ধে অবশ্য গোল পেয়েছেন সুয়ারেজ।
৭৯ মিনিটে আন্তে ভাদিমিরের লক্ষ্যভেদে ওসাসুনা লিড নেয়। অবশ্য ৮২ মিনিটে আতলেতিকোর রেলান লোদি ম্যাচে সমতা আনেন।
৮৮ মিনিটে সুয়ারেজ গোল করে দলকে তিন পয়েন্ট এনে দেন।
ম্যাচের একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল রিয়াল ম্যাচ বুঝি ড্র করতে যাচ্ছে। তাদের কোনও প্রচেষ্টাই যে সফল হচ্ছিল না। বিশেষ করে প্রথমার্ধে গোলের দেখাই পায়নি জিনেদিন জিদানের দল।
৪৩ মিনিটে বরং বিলবাওর আলেক্স বারেনগুয়েরের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে বেঁচে যায় রিয়াল। বিরতির পর রিয়ালকে আর আটকানো যায়নি। ৫৮ মিনিটে লুকা মদরিচের শট প্রতিহত করেন উনাই সিমোন।
৬৮ মিনিটে অবশ্য রিয়ালকে স্বস্থি এনে দেন নাচো। একমাত্র জয়সূচক গোলটি এসেছে এই ডিফেন্ডারের সৌজন্যে।
৮৯ মিনিটে বিলবাওর দুর্ভাগ্য কাটেনি। গার্সিয়া লাল কার্ড দেখেন। তাতে ১০ জন নিয়ে শেষ এক মিনিট খেলেছে বিলবাও। এতে অবশ্য ম্যাচের স্কোরলাইনে কোনও পরিবর্তন আসেনি।