মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

রোববার ১৬ মে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ২৮০ জনের নমুনা টেস্ট করে ৫৫ জনের টেস্ট রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া গেছে। বাকী ২২৫ জনের নমুনা টেস্ট রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির সিবিএন-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রোববার শনাক্ত হওয়া ৫৫ জন করোনা রোগীর মধ্যে ২ জন আগে আক্রান্ত হওয়া পুরাতন রোগীর ফলোআপ টেস্ট রিপোর্ট। বাকী নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীর মধ্যে ১ জন বান্দরবান জেলার রোগী। অবশিষ্ট ৫২ জন রোগীর সকলেই কক্সবাজারের রোগী। তারমধ্যে, ৫ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী। এছাড়া কক্সবাজার সদর উপজেলায় ২২ জন, রামু উপজেলায় ২ জন, উখিয়া উপজেলায় ৭ জন, টেকনাফ উপজেলার ১৩ জন, চকরিয়া উপজেলায় ২ জন এবং মহেশখালী উপজেলার ১ জন রোগী রয়েছে।

এনিয়ে, ১৬ মে পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো-মোট ৯ হাজার ৬৩ জন। মোট আক্রান্তদের মধ্যে শুধু কক্সবাজার সদর উপজেলার রোগী রয়েছে ৪ হাজার ২ শত ৭৮ জন। যা মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর প্রায় অর্ধেক। এরমধ্যে, গত ১৫ মে পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জেলায় মৃত্যুবরণ করছে ১০৩ জন। তারমধ্যে, ১২ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ১’১৪%।

এদিকে, গত ১৫ মে পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৭ হাজার ৮২৮ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৮৬’৮৭%। একই সময়ে কক্সবাজারে করোনা আক্রান্ত অসুস্থ রোগী রয়েছে ১ হাজার ৫৬ জন। এরমধ্যে, হোম আইসোলেসনে রয়েছেন ৮৮০ জন, প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেসনে রয়েছেন ১৭৬ জন। তারমধ্যে, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেসনে রয়েছেন ৪৫ জন, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেসন হাসপাতালে রয়েছেন ৬ জন, চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেসন হাসপাতালে রয়েছেন ৩ জন, কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছরা ফ্রেন্ডশিপ SARI হাসপাতালে রয়েছেন ১০ জন, রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের অভ্যন্তরে আইসোলেসন সেন্টার সমুহে রয়েছেন স্থানীয় জনগণ ২৯ জন এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী রয়েছেন ৮৩ জন।