রকিয়ত উল্লাহ, মহেশখালী:

সাগরদ্বীপ মহেশখালীর পাদদেশে অবস্থিত শাপলাপুর ইউনিয়নের বারিয়া ছড়ি গ্রামে গত ১১ মে রাতে সংঘটিত খুনের ঘটনায় মহেশখালী থানায় মামলা দাযের করা হয়েছে। এ মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। যার মামলা নং ১৬।

নিহত জুবাইর এর বড় বোন রেহেনা বেগম জুনু বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এবিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই বলেন, শাপলাপুরে পাষণ্ড পিতার নেতৃত্বে পূত্র খুন হওয়ার ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক পিতা আলতাফ হোসেন ও তার পূত্র শাহাজাহান টিপুকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট জড়িতদেরকে দ্রুত সময়ে গ্রেফতারের পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান।

জানা যায়, মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের বারিয়া ছড়ি গ্রামের মৃত ছালেহ আহমদের পুত্র আলতাফ হোসাইনের রয়েছে তিন স্ত্রী।প্রথম স্ত্রীর ঘরে রয়েছে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে। ২য় স্ত্রীর রয়েছে ১ ছেলে। ৩ য় স্ত্রীর রয়েছে ১ ছেলে ও ২ মেয়ে। কিন্তু ২য় স্ত্রীর ঘরে হেলাল নামের এক সন্তান জন্ম হওয়ার পর তালাক প্রাপ্ত হন। তবে ১ম স্ত্রী ও ৩য় স্ত্রী একই ঘরে পৃথক পৃথক ভাবে বসবাস করে আসছেন।

অভিযোগ উঠেছে বহু বছর ধরে ১ম স্ত্রীর ছেলে-মেয়েদের কে কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে না আলতাফ হোসেন। এ নিয়ে প্রায় সময় পিতা-পুত্রদের মধ্যে বাক বিতন্ডতা ঘটে।এমন কি এ নিয়ে সমাজিক ও থানায় কয়েকটি অভিযোগ ও রয়েছে।গত ১ বছর ধরে তা বিচার না হওয়ায় পিতা আর পুত্রদের মধ্যে দিন দিন দুরুত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। সর্বশেষ আলতাফ হোসেন, তার ৩য় স্ত্রীর ও ছেলের পরামর্শে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে গত ১১ মে রাতে প্রথম স্ত্রীর ছেলে-মেয়েদের কে ঘুমান্ত অবস্হায় এলোপাতাড়ী কোঁপাতে থাকে।এতে ঘটনাস্হলে প্রথম স্ত্রীর বড় ছেলে জুবাইর নিহত হন। মারাত্মক আহত হন প্রথম স্ত্রী জন্নাত আরা, ছেলে মো: ফয়সাল, নাতী শামীমা আকতার ও জুনু বেগম। আহত সকলকে চটগ্রাম সরকারী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর পর এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ঘাতক পিতা আলতাফ হোসেন ও সৎ ভাই টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে মহেশখালী থানার পুলিশ।