মোজাম্মেল হক, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী):
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। দেশের দক্ষিণ বঙ্গের প্রবেশ দ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ঢাকা ফেতর ঘরমুখি মানুষের ঢল। করোনা ভাইরাস এর ঝুকিঁ নিয়েই হচ্ছে ফেরী পারাপার স্বাস্থ্য বিধির কোন বালাই নেই।

রোববার (৯মে) সকালে পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ইউটিলিটি ছোট ফেরী মাধবী লতা দৌলতদিয়া ৫নং ফেরি ঘাটে আসলে দেখা যায় গাদাগাদি করে একজনের ঘা ঘেষে আরেক জন দাড়িয়ে আছে। সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্য বিধি কোনটাই মানছেন তারা। বাড়িতে সবার সাথে ঈদ উদযাপন করতে আগেভাগেই ঢাকা ছাড়ছেন তার ।সরকার ঘোষিত লকউানের মধ্যে দিনে সীমিত ভাবে জরুরী রোগীবাহি এম্বুলেন্স ও সরকারী কাজে ব্যবহারিত গাড়ি পারাপারের জন্য ছোট ফেরী চলাচল করছে।সেই ফেরী গুলোতে ঢাকা ফেরত যাত্রীর ঢল ছিলো চোখে পড়ার মত।

যাত্রী এহসান ইসলাম বলেন,ভোরে ঢাকা যাত্রা বাড়ি থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছি। অতিরিক্তি ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা কখনো মাহেন্দা করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে পাটুরিয়া ঘাটে এসে পৌছাঁই। ঘাটে দুই ঘন্টা বসে থাকা পর মাধবী লতা ফেরীতে খুব কষ্ট করে উঠে পড়ি। কারন বাড়িতে সবার সাথে ঈদ উদযাপন করবো বলে ঝুকি নিয়ে এসে পড়লাম।

মাধবী লতা ফেরীর মাষ্টার মেহের আলী বলেন, করোনা কালীন সময় এই ঘাটে সীমিত ভাবে দুই একটা ছোট ফেরী চলাচল করছে । জরুরী রোগীবাহি এ্যম্বলেন্স ও রাট্রের কাজের জন্য কিছু গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। সে সুযোগে গাদাগাদি করে করোনা ভাইরাসের ঝুকি নিয়ে ফেরীতে উঠছে যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক ফিরোজ খান বলেন, উর্ধতণ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ছোট ফেরী চলাচল করছে।তবে জরুরী সেবার এ্যম্বলেন্স এক সঙ্গে ৮ থেকে১০ টা হলে ছোট ফেরী দিয়ে সে গুলো পারাপার করা হবে। এ ছাড়া রাতে পন্যবাহি ট্রাক পারাপার করা হবে। ফেরী বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে যাত্রী ও ছোট যানবাহনের কিছুটা চাপ রয়েছে।