সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ
পবিত্র মাহে রমজান ও মহামারি করোনায় গ্রামের কর্মহীন দরিদ্র ও অসহায় পরিবারে হাসি ফুটাতে কাজ করছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইউনাইটেড পারপাস’ ও ‘পেনিএ্যাপিল’। এরই প্রেক্ষিতে রামুতে ৪২৮টি পরিবারে শর্তহীন ২১ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। মোবাইল ব্যাংকিং ‘নগদ’ এর মাধ্যমে প্রতি পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৯শে এপ্রিল) থেকে শনিবার (৫ই মে) পর্যন্ত রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে ‘ইউনাইটেড পারপাস’ ও ‘পেনিএ্যাপিল’র উদ্যোগে ফিতরানার ওই অর্থ বিতরণ করা হয়। এই অর্থ প্রদানে সার্বিক সহায়তা প্রদান করে ‘ইউনাইটেড পারপাস’ এর ‘স্মাইল’ প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ‘পেনিএ্যাপিল’। ‘ফিড আওয়ার ওয়ার্ল্ড ২০২১’ এর আওতায় কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে ৪২৮ দরিদ্র ও অসহায় পরিবারকে শর্তহীন ওই আর্থিক সহায়তা অত্যন্ত সচ্ছতার সাথে সমাপ্ত করে ইউনাইটেড পারপাস।

গত ২৯ শে এপ্রিল রামু উপজেলার পূর্ব রাজারকুল ‘নছরত আছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ নগদ অর্থ প্রদানের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা ‘পেনিএ্যাপিল’ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লাহ আল হাসান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, প্রকল্প বাস্তায়নকারী সংস্থা ‘ইউনাইটেড পারপাস’ এর ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের প্রধান মাসুদ রানা ও প্রজেক্ট ম্যানেজার সুনিল জীবন চাকমা, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, সাংবাদিক খালেদ শহীদ।

এই অর্থ সহয়তা প্রদানের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত গরীব-অসহায় পরিবার সনাক্ত করে সম্পূর্ণ প্রভাব মুক্ত ও সচ্ছতার সাথে উপকারভোগির তালিকা তৈরী করা হয়। ফলে প্রকৃত অসহায় পরিবারগুলোর সদস্যরা এই আর্থিক সহায়তার আওতায় আসে। যারা বিভিন্নভাবে সরকারি সহয়তা পেয়েছেন বা পাচ্ছেন, তাদেরকে এই তালিকায় রাখা হয়নি।
‘ইউনাইটেড পারপাস’ ও ‘পেনিএ্যাপিল’ রাজারকুলের গরীব-অসহায় মানুষদের ভালোবেসে করোনার এই ক্রান্তিকালে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। যেহেতু এটি ফিতরানার অর্থ ছিল সেহেতু শুধু মাত্র মুসলিম পরিবারের সদস্যদেরকে এই সহায়তার আওতায় আনা হয়।

রাজারকুল বাসীর পক্ষ থেকে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান ‘ইউনাইটেড পারপাস’ ও ‘পেনিএ্যাপিল’ এর প্রতি এই মহৎ কাজের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এবং সুযোগ থাকলে করুনাকালিন সময়ে মুসলিম ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের অসহায় পরিবারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ করেন।
‘পেনিএ্যাপিল’ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লাহ আল হাসান বলেন, পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে এই আর্থিক সহয়তা প্রদান করা হয়েছে।

কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের ৪২৮ পরিবার ও সাতক্ষিরায় ৪২৭ দরিদ্র ও অসহায় পরিবারকে এই সহায়তা দেয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশের এই দুই জায়গায় ৮৫৫ পরিবার এককালীন এই আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। প্রতি পরিবারকে শর্তহীনভাবে ৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।

রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের ৪২৮ পরিবার পেয়েছে ২১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। এই কার্যক্রম পরিক্ষামূলক ভাবে শুরু করা হয়েছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে আরও বেশী পরিবার যেন এই সহায়তা পায়। রামুর অন্যান্য ইউনিয়নের আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।