সিবিএন মাল্টিমিডিয়া ও কুহেলিয়া টিভিতে প্রচারিত ‘কলাতলীতে মাদক সেবনের বিপক্ষে বিচার করায় হামলা’ শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোতি ও গভীর ষড়যন্ত্রমূলক।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, আমার শ্যালিকা রাশেদাকে চলার পথকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মনির ও তার লোকজন মারধর করে মারাত্মক আঘাত করেছিলো। গত ১৮ এপ্রিল এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা নিয়ে থানায় বিচার হয়। বিচারে রাশেদাকে ১২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়। মনির ওই ১২ হাজার টাকা সমাজপতি হিসেবে মুফিজের হাতে দেয়। মুফিজ সেখান থেকে ৫হাজার টাকা রাশেদাকে দিয়ে অবশিষ্ট ৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে।

অন্যদিকে রাশেদার পথ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য মুফিজকে দায়িত্ব দিয়েছিলো। এর মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাশেদ সমস্যাটি সমাধান করে দেয়ার জন্য মুফিজকে অনুরোধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মুফিজ রাশেদাকে অশ্রাব্য ও অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে। পথ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করে না দিলে ওই ৭ হাজার টাকা ফেরত দিতে অনুরোধ করেন রাশেদা। এতে আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং আরো বেশি করে গালি-গালাজ করে। ভগ্নিপতি হিসেবে রাশেদা বিষয়টি আমাকে জানান। আমি বিষয়টি বিচার করে দেয়া এসআই আনোয়ারকে জানাই। এসআই আনোয়ারের কথা মতো আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে গালি-গালি করতে বারণ ও ৭ হাজার ফেরত দিতে মফিজকে অনুরোধ করি। এতে মুহূর্তের মধ্যে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠে মুফিজ। কিছু বুঝে উঠার আগেই বসার চেয়ার নিয়ে আমাকে মারধর শুরু করে। একই সাথে জাহাঙ্গীর, খোরশেদসহ আরো কয়েকজন আমাকে উপর্যপুরি কিল-ঘুষি মারে। এতে আমি আহত হয়ে পড়ি। তাৎক্ষণিক থানায় গিয়ে বিষয়টি জানাই।

এদিকে আমি থানায় যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তাৎক্ষণিক সাংবাদিকদের ডেকে মিথ্যা মানববন্ধনের ঘটনা সাজায়। মফিজসহ অন্যান্যরা সংঘবদ্ধভাবে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে নানা অপবাদ দেয়। মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করেই সাংবাদিকরা মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে।

উল্লেখ্য যে, মফিজসহ তার সিন্ডিকেটের লোকজন ইয়াবা ও মদ ব্যবসাসহ নানা অপরাধের জড়িত। এর মধ্যে মফিজের ভাই হাবিব ইয়াবা নিয়ে ধরা পড়ে এক বছর জেল খেটেছিলো। জাহাঙ্গীরের ভাই নূর আলমের বিরুদ্ধে ইয়াবা ও মদ ব্যবসার সাতটি মামলা রয়েছে। সিন্ডিকেটের অন্যান্যরাও ইয়াবা, মদ ও চাঁদাবাজির জড়িত রয়েছে। তাদের এই অপকর্ম আড়াল করতে তারা জঘন্যভাবে আমাকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে অপপ্রচার করছে এবং সাংবাদিকদের সাথে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করছে।
পরিশেষে এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
জামাল উদ্দীন
অফিস সহকারী, কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়।