মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, দৈনিক দেশ বিদেশ এর সাবেক সম্পাদক ও দৈনিক আপনকন্ঠ পত্রিকার সত্বাধীকারী মোহাম্মদ হোসাইন বিএ’র সহধর্মিণী মেহেরুন্নেছা পুতুল এর বৃহস্পতিবার ২৯ এপ্রিল দু’দফা জানাজা শেষে পেকুয়ার বারবাকিয়া জালিয়াকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।

মরহুমার জ্যেষ্ঠ জামাতা ব্যারিস্টার আবুল আলা ছিদ্দিকী বিষয়টি সিবিএন-কে জানিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, একইদিন সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজার শহরের উত্তর রুমালিয়ার ছরা বায়তুর রিদুয়ান জামে মসজিদ মাঠে মেহেরুন্নেছা পুতুল এর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জানাজায় বিশিষ্ট ব্যাংকার মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ জাবেদুল ইসলাম সহ বিভিন্ন পেশার লোকজন অংশ নেন।

এরপর মেহেরুন্নেছা পুতুল এর মৃতদেহ পেকুয়ার বারবাকিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একইদিন জোহরের নামাজের পর বারবাকিয়া জালিয়াকাটা মোহাম্মদ হোসাইন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মরহুমার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা বদিউল আলম উক্ত নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন। জানাজায় কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সহ সর্বস্থরের মুসল্লীরা অংশ নেন।

গত ২২ এপ্রিল মেহেরুন্নেছা পুতুল এর দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়। এর পর গুরতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আইসিইউ’তে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিলো। সেখানে বৃহস্পতিবার ২৯ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ মহিয়সী নারী ৫৬ বছর বয়সে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান।

কক্সবাজার শহরের অভিজাত শপিং মল ‘আপন টাওয়ার’ এর সত্বাধীকারী, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ হোসাইন বিএ এর সহধর্মিণী মেহেরুন্নেছা পুতুল ২০১০ সালে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত হয়ে তখন থেকে শয্যাশায়ী ছিলেন। পেকুয়ার জমিদার মরহুম মাস্টার শামশুল হক সিকদারের কন্যা মেহেরুন্নেছা পুতুল স্বামীর সাথে সাথে স্থানীয় সংবাদপত্র শিল্পের প্রসারে বিভিন্ন অবদান রেখেছেন।

মেহেরুন্নেছা পুতুল মৃত্যুকালে স্বামী মোহাম্মদ হোসাইন বিএ, দুই কন্যা সন্তান যথাক্রমে এডভোকেট আমিনাতুল মুইম্মাহ মাজবিন ও এডভোকেট আমিনাতুল মুরসালিন এবং দুই পুত্র সন্তান যথাক্রমে তরুন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াসিন হোসাইন ও ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ মারুফ হোসাইন সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন, গুণগ্রাহী রেখে যান।