নীতিশ বড়ুয়া, রামু:
‘ডাকভাঙ্গা’ একটি গ্রামের নাম। যে গ্রামে বিদ্যুৎ নাই। নাই চলাচলের ভালো রাস্তা। গ্রামের মানুষের জরুরি চিকিৎসার জন্য নেই কোন চিকিৎসাকেন্দ্র। দুর্গম এ পাহাড়ি গ্রাম ডাকভাঙ্গা’র মানুষের জীবন চলার খবরা-খবর নিতে দীর্ঘ প্রায় দশ কিলোমিটার মেটোপথ পায়ে হেঁটে ছুটে গেলেন কক্সবাজার -৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল। যে গ্রামে কোন সময় এমপি বা উপজেলা চেয়ারম্যানের পদচিহ্ন পড়েনি সেই গ্রামে সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি’র আগমনে গ্রামবাসি খুশিতে আত্মহারা।
দুর্গম জনপদ ডাকভাঙ্গা গ্রামটি কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের অবহেলিত একটি গ্রাম।
এমপি কমল পিছিয়ে পড়া এ গ্রামটিকে আগামী ৬ মাসের মধ্যে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করা হবে বলে ঘোষণা দেন। তিনি গ্রামবাসির যাতায়াতের সুবিধার্তে গ্রামের রাস্তা পাকাকরন করে দেয়ার কথাও বলেন।
আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি ২৫ এপ্রিল রবিবার বিকালে কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের মঈষকুম হয়ে দীর্ঘ প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে ঢাকভাঙ্গা গ্রামে পৌঁছেন। কখনো পাহাড়ের চুড়ায়, আবার কখনো পাহাড়ের ঢালু বেয়ে বাঁকখালী নদী দুইবার পার হয়ে ডাকভাঙ্গা গ্রামে পৌঁছালে গ্রামের শিশু, কিশোর, যুবসহ মুরুব্বীরা এমপিকে স্বাগত জানান।
গ্রামের এক উঠানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও ইফতারের আয়োজন করেন স্থানীয়রা। আলোচনা সভায় আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্দশার কথা শুনে বলেন আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ গ্রামের চিত্র পাল্টে যাবে। বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করে গ্রামটিতে রাস্তাঘাট, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসাকেন্দ্রসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু প্রতিষ্ঠার মাধমে ডাকভাঙ্গাকে মডেল গ্রামে রূপান্তর করা হবে।
এসময় এমপি কমলের সফরসঙ্গী ছিলেন রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক,উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ওসমান সরওয়ার মামুন, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু মো. ইসমাইল নোমান, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এম সেলিম, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের জহির উদ্দিন মেম্বার, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আজিম প্রমুখ। স্থানীয় বাসিন্দা মাস্টার আবুল কাসেম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ডাকভাঙ্গার মফিজুর রহমান, গোলাম কাদেরসহ গ্রামের মুরুব্বিরা বক্তব্য রাখেন।