অনলাইন ডেস্ক:
করোনার ভয়ানক ছোবলে ভারত জর্জরিত। অক্সিজেন ও হাসপাতাল বেডের অভাবে অনেকে আম্বুলেন্সেই মৃত্যুবরণ করছেন। সংকট মোকাবেলায় অক্সিজেন রপ্তানী বন্ধ রেখেছে দেশটি। তাই বিকল্প উপায় খুঁজতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, ‘লিকুইডের মাধ্যমে হাসপাতালে আমরা অক্সিজেন সাপ্লাই দিতাম এখন তা গ্যাসের মাধ্যমে তৈরি করা যেতে পারে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকেই লিকুইড অক্সিজেন পাওয়া যায়। তাদের কাছ থেকে নিয়ে আমরা এর ঘাটতি পূরণ করতে পারি।’

তবে অক্সিজেন উৎপাদনকারীরা বলছেন, লোডশেডিং এর কারণে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা অনুযায়ী অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারছেন না। সার্বিক সহযোগিতা ও সরকার আন্তরিক হলে দেশেই চাহিদার ৯০ ভাগ অক্সিজেন উৎপাদন করা সম্ভব বলেও জানান তারা।
ইসলাম অক্সিজেন প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও মো. মুস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘একবার লোডশেডিং হলে আমাদের প্রায় তিন ঘন্টা প্রোডাকশন বন্ধ থাকে। আমাদের যদি গ্যাসের কানেকশন থাকতো তাহলে আমরা আমাদের যতটুকু প্রোডাকশন আছে তার সবটুকুই করতে পারতাম এবং হাসপাতালগুলোতে আরও ৩০ শতাংশ বেশি অক্সিজেন দিতে পারতাম। গ্যাসের জন্য আমরা আবেদন করেছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখনো আমাদের কিছু জানায়নি।’

এছাড়াও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে সংক্রমণ কমিয়ে আনার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আইইডিসিআর সাবেক পরিচালক ড. বে-নজীর আহমেদ বলেন, ‘রোগী বাড়িতে থাকলে অনেকে বুঝেন না। শুরুতেই তারা অক্সিজেন নেয় না যখন পরে শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গ আক্রান্ত হতে থাকে তখন তারা হাসপাতালে যায় বেশি অক্সিজেন লাগে। আমাদের অভ্যন্তরিন অক্সিজেনের যতটুকু প্রোডাকশন করা সম্ভব সেটির উপর জোর দিতে হবে।’