বান্দরবান প্রতিনিধি :

বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলার শিকার উহ্লা মং মারমা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও গত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আর হামলার অভিযোগ উঠেছে বর্তমান পাইন্দু ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইলুকথাং এর বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভয়েস রেকর্ড ছড়িয়ে পড়া নিয়ে শুক্রবার (২৩এপ্রিল) রাতে রুমা বাজারের ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার উহ্লা মং মারমা বর্তমানে বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লা মং মারমা কর্তৃক এক মহিলা মেম্বারকে লাথি মারার ঘটনা সংক্রান্ত একটি ভয়েস রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে এলাকায় ভাইরায় হয়। আর এই ভয়েস ভাইরাল করার জন্য পাইন্দু আ.লীগের সভাপতি ও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইলুকথাং বমকে দায়ী করেন পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা। পরে বিষয়টি দুপক্ষের মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এদিকে শুক্রবার (২৪এপ্রিল) দুপুর থেকে সাইলুকথাং কে এলাকায় খুঁজতে থাকেন ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা। রাত ১০টার দিকে সাইলুকথাংকে মুঠোফোনে কল করে তার বাড়িতে যান চেয়ারম্যান উহ্লামং। সেখানে উভয় পক্ষের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয় ক্ষমতাসীন দলের এই দুই নেতা। এক পর্যায়ে উহ্লা মং মারমা মাচাং ঘরের নিচে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

এই প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমাকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার স্ত্রী পিয়ান এংময় জানান, তার স্বামীকে রাস্তায় সাইলুকথাং সহ সঙ্গীরা হামলা করেছে। এতে তার স্বামীর চোখে আঘাত পেয়েছে। তাছাড়া তার ছেলে জয় ও ছেলের বন্ধু জমংপ্রুও আহত হয়েছে বলে দাবী করেন চেয়ারম্যানের সহধর্মীনি।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইলুকথাং বলেন- বিতর্কিত ভয়েস রেকর্ডটি ফেসবুকে দেননি তিনি। যদি সন্দেহ থাকে থানায় গিয়ে মামলা করার কথাও উহ্লামং কে বলেছিলেন। পাল্টা তার উপরও হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা ও সাইলুকথাং উভয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশী। সাইলুক থাং একসময় বিএনপির রাজনীতি ত্যাগ করে ক্ষমতাসীন দলে যুক্ত হয়েছিলেন। ইউপি নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় তাদের দুজনের মধ্যে গোপনে ও প্রকাশ্য বিরোধ দেখা দিয়েছে।

এই বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক থাংখাম লিয়ান বলেন- হাতাহাতি ঘটনায় লিপ্ত দুইজনই আমাদের পার্টির লোক। তাদের দুজনকে উপজেলা পরিষদে ডাকা হয়েছে।বিষয়টি সুরাহা করবেন উপজেলা চেয়ারম্যান।