মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
সাগরে ভেসে আসা তিমি দু’টির কঙ্কাল সংরক্ষণ করা হবে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। গবেষণা কাজ চালাতে ও প্রাণীবিদ্যা শিক্ষার্থীদের পর্যবেক্ষণে এগুলো পার্কটির মিউজিয়াম কক্ষে সংরক্ষিত থাকবে।
সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুর রহমান তিমির কঙ্কাল দুটি ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে সংরক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মাংসপেশি আলাদা হয়ে গেলে ৩-৬ মাসের মধ্যে সাগরে ভেসে আসা দুই তিমির কঙ্কাল মাটি থেকে উত্তোলন করা হবে। এগুলো ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে সংরক্ষণ করা হবে। এর আগে উপকূলে ভেসে আসার পর দুই তিমি’রই শরীর পঁচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছিল। এ কারণে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর প্রাণী দুটি বালিয়াড়িতেই মাটি চাপা দেয়া হয়।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুর রহমান আরো জানান, সুরতহাল প্রতিবেদনে সৈকতে ভেসে আসা তিমি দুটিই “পুরুষ” ছিল। এরা আত্মহত্যা করতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হ্যাঁ পারে। তবে এক্ষেত্রে একটি মৃত তিমির জন্য অপর তিমি আত্মহত্যা করতে গেলে সেটি অর্ধমৃত অবস্থায় সমুদ্রে সনাক্ত করা যেত। উপকূল কিংবা জাহাজের দূর থেকে তা চিহ্নিত করা সম্ভব হতো। এই দুটি তিমির ক্ষেত্রে আত্মহত্যার বিষয়টি এখনো প্রমাণিত হয়নি।
ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক তত্বাবধায়ক মাজহারুল ইসলাম বলেন, তিমির কঙ্কাল পার্কে প্রদান করলে দর্শনার্থী ও শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর কঙ্কাল ও শারীরিক কাঠামো পার্ক মিউজিয়ামে রয়েছে। এখান দর্শনার্থী ছাড়াও বিজ্ঞান বিভাগের প্রাণী বিদ্যার শিক্ষার্থীদের উপকারে আসছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ ও ১০ এপ্রিল মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি ও দরিয়ানগর সমুদ্র সৈকতে পাওয়া যায় দুটি তিমির মৃতদেহ। এ দুটি প্রাণী ছিল ‘ব্রাইডস হুয়েল’ অথবা ‘বলিন’ প্রজাতির। এদের ওজন ছিল ১০ ও ১২ টন। লম্বায় ৪২ ও ৪৫ ফুট এবং প্রস্থে ছিল ২৪ ও ২৫ ফুট। তিমি দুটির বয়স আনুমানিক ১৫-২০ বছর বলে ধারণা করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ।