আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় রীতিমতো কাঁপছে ভারত। দেশটিতে ভয়াবহভাবে বেড়েই চলেছে ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশটির দৈনিক করোনা সংক্রমণ ছাড়িয়েছে তিন লাখের ঘর। আগের দিনের তুলনায় শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সেই সংখ্যা বেড়েছে ১৭ হাজারের বেশি।

একইসঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন রেকর্ড ২ হাজার ২৬৩ জন।

শুক্রবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ৩২ হাজার মানুষ। যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় ১৭ হাজার বেশি। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন।

বৃহস্পতিবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ১০২ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হলেও শুক্রবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৬৩ জনে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯২০ জনে।

দৈনিক বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার কারণে ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। দেশটিতে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৪ লাখ ২৮ হাজার ৬১৬ জন।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কমবয়সীরাও অনেক বেশি সংখ্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তদের ৬০ শতাংশের বয়সই ৪৫ বছরের কম। তবে এই বয়সের মানুষের মৃতের সংখ্যা কম। কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ধাক্কায় যারা মারা যাচ্ছে তাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশের বয়সই ৬০ বছরের বেশি।

করোনার প্রথম ঢেউয়ের মতো দ্বিতীয়টিতেও ভারতের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্য মহারাষ্ট্র। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে রাজ্যটিতে আক্রান্তদের ৪৮ শতাংশেরই বয়স ৪০ বছরের ওপরে। অন্যদিকে মার্চের ৫ তারিখ থেকে এপ্রিলের ৫ পর্যন্ত আক্রান্তদের তার ৪৭ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ৪৫ এর মধ্যে।

তবে লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যা অনেক বেশি। গত বছর করোনা মহামারির শুরুতে বয়স্ক ব্যক্তিরা অনেক বেশি সংখ্যায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন, এবার তরুণদের মধ্যে সেই প্রবণতা বেশি।