নিজস্ব প্রতিবেদক:

উখিয়ার বালুখালীতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে এক নিরহ ব্যক্তির বসতবাড়ীতে ভাংচুর চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় বাধা দিতে গিয়ে ২ নারীসহ ৩জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, ইউনূছ, সমুদা বেগম ও মিনু। তৎমধ্যে সমুদা বেগমের অবস্থা আশংখাজনক বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।

গত ৭ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণপাড়া লতিফুন্নেছা স্কুল সংলগ্ন এলাকা এ ঘটনাটি ঘটলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতংকে এতোদিন মূখ খুলতে সাহস পাননি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। ঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকির কারনে ঘর ছেড়ে অন্যত্রে আশ্রয় নিয়েছে উক্ত পরিবারের সদস্যরা।

সুত্রে জানা গেছে, বালুখালী দক্ষিণপাড়া থেকে মিয়ানমার সীমান্ত মাত্র আধা কিলোমিটার। সেই সুবাধে বালুখালী সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা থেমে নেই। ওই এলাকার চৌকিদার জুনুর ভাগিনা ছৈয়দ আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৫), আব্দুল করিমের ছেলে হামিদুল হক (৩৮), তার ভাই হামিদ হোসেন (৩০) আলী হোসেনের ছেলে চৌকিদার জুনুর ভাই সামসু(৩২) ইসলামের ছেলে হানিফ (৩০)সহ বিশাল একটি সিন্ডিকেট এই ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত। তারা প্রত্যেকে মাদক মামলার আসামী।

আরো জানা গেছে ইতিপূর্বে চৌকিদার জুনু ইয়াবা সহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে জামিনে মুক্ত হয়ে সিন্ডিকেট করে রমরমা ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান তাদের অবৈধ টাকার ক্ষমতার জন্য এলাকাবাসী মূখ খুলতে ভয় পায়।

ভুক্তভোগী পরিবারটি এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় দীর্ঘদিন ধরে মামলা,হামলা সহ নানান ধরনের হয়রানী করে আসছিল। যার ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সীমান্তে একটি ইয়াবা চালান আটকের জের ধরে উক্ত পাচারকারীরা অন্যায় ভাবে ২ টি বসতবাড়ীতে হামলা করে। শুধু তাই নয় ঘরের ভিতরে ঢুকে সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৪লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ বিদেশী ৫০-৬০ হাজার টাকার জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় তারা৷ পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরীসহ তিন পুলিশ সদস্য এসে তাদের উদ্ধার করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

তবে এদিকে হামলাকারীরা উল্টো হয়রানীমূলক মামলা করে নিরহ পরিবারের বিরুদ্ধে । এতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সদ্য বিদেশ ফেরত নজু মিয়াকেও প্রধান আসামী করে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এব্যাপারে জানার জন্য উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ নিকট একাধিক ফোন করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।