আব্বাস সিদ্দিকী, কুতুবদিয়া:
তিন বছর আগে মারা যান কুতুবদিয়ার লেমশীখালী লবণচাষি মো. ইসমাইল। সপ্তাহখানেক আগে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন স্ত্রী রূপা আক্তার।
মৃত এই দম্পতির ঘরে এখন তিন এতিম কন্যা শিশু মাইমুনা আক্তার (১০), তানিয়া সোলতানা (৭) ও বাপ্পী (৫)। পরিবারে এখন আর কেউ নেই তাদের।
আত্মীয়স্বজনেরাও গরীব। এ অবস্থায় ওই তিন শিশুর ভরণপোষণের কী হবে, তা নিয়ে ভেবে আকুল হচ্ছেন স্বজন ও প্রতিবশিরা।
মা- বাবা হারানো শিশুদের যেন অকূল পাথার পড়েছে।
তাদের বাড়ী লেমশীখালী ইউনিয়নের ওয়ার্ড নং ৪, আলী বাপের গ্রাম।
শিশুরা বাবা-মাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। সব সময় অসহায় দৃষ্টিতে মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকে তারা। এ দৃশ্য দেখে অনেকে আপ্লুত হয়ে পড়ছেন। আর স্বজনরা তাদের নিয়ে দুচিন্তায় রয়েছেন।
তিন শিশু কন্যায় এখন দাদী নুরুন্নাহার (৬০) জিম্মায় রয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, মো. ইসমাঈল ও রূপা আক্তার খুবই দরিদ্র। লবণ চাষী ছিলেন মো. ইসমাঈল। আত্মীয় স্বজন যারা আছেন, তারাও দরিদ্র। মো. ইসমাঈল ও রূপা আক্তার মারা যাওয়ায় তাদের তিন শিশু সন্তানের ভরণপোষণ ও দেখাশোনা করার মতো অবস্থা কারও নেই।
এব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন জানান, এতিম তিন শিশু কন্যাদের ব্যাপারে আগে কেউ বলেনি। আগামীতে নতুন কোন সুযোগ হলেই অবশ্য তাদেরকে ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।