সিবিএন ডেস্ক:
আমরা আল্লাহর পথে না চলে, অন্যের পথে চলি বলেই দিনে দিনে বিপদ-আপদে পরছি। আমাদের পাপাচার, অন্যায়, জোর-জুলুম পরিহার করে আল্লাহর দেখানো পথে চলতে হবে। তা-না হলে গজব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার বড় মসজিদ বাইতুল করিমে জুমার আগে বক্তৃতায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রমজান মাস চলছে। এই পবিত্র মাসে মানুষকে পাপাচার, জুলুম, অন্যায় সব ধরনের কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।
হেফাজত আমিরের প্রেস সচিব ও ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা ইন’আমুল হাসান ফারুকী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জুমার আগের বক্তৃতায় হেফাজত আমির বলেন, ‘এই রোজা-রমজানের দিনে নিরাপরাধ আলেম-ওলামাদের ওপর অন্যায়ভাবে জুলুম আল্লাহ বরদাশত করবেন না। সারাদিন রোজা রেখে ইফতার করবে তার সুযোগও দেয়া হচ্ছে না। তারাবির নামাজ থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। সারারাত বাইরে বাইরে লুকিয়ে থেকে সাহরি খেতে বাড়িতে ঢুকলেই তুলে নেয়া হচ্ছে। রাতে ঘরে ঘরে তল্লাশির নামে নারীদের কষ্ট দিচ্ছে। নিরপরাধ সাধারণ জনগণকেও হয়রানি করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহ ফেরাউনকেও সুযোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু ছেড়ে দেননি। মনে রাখবেন—আল্লাহ ছাড় দেন, ছেড়ে দেন না। এই জুলুমের শেষ একদিন হবে। পৃথিবীতে কোনো জালিম চিরস্থায়ী হয়নি। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আপনারা মরবেন না। আল্লাহর আজাবকে ভয় করুন।’
বাবুনগরী আরও বলেন, ‘সরকার, প্রশাসন, জনগণ সবাইকে নসিহত করছি। আল্লাহকে ভয় করুন। তার আজাবকে ভয় করুন। হাশরের দিনের পাকড়াওকে ভয় করুন।’
মুসল্লিদের উদ্দেশে হেফাজত আমির বলেন, ‘চলমান সঙ্কট নিরসনে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যেখানে, যা করা দরকার, উলামায়ে কেরামের সঙ্গে পরামর্শক্রমে তাই করা হচ্ছে। আপনারা ধৈর্যহারা হবেন না। সবর করুন। দোয়া ও ইসতিগফার পড়ুন। আল্লাহ উত্তম বদলার সুযোগ দেবেন।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।