সিবিএন ডেস্ক:
করোনায় স্বাভাবিক কাজ যেমন ব্যাহত হয়েছে, তেমনই কৃষিকাজও ব্যাহত হয়েছে। এ কারণেই চালের সরবরাহ কমেছে, ফলে চালের দাম বেড়েছে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশ নেন।

আলোচনায় নঈম নিজাম নিউজ প্রিন্টের ওপর আরোপিত কর কমানো, করপোরেট ট্যাক্স কমানোর পরামর্শ দেন। নাইমুল ইসলাম খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন আন্তর্জাতিক মানের নয় বলে উল্লেখ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে কীভাবে স্বীকৃত করা যায়, গবেষণার মাধ্যমে আরও বেশি আন্তর্জাতিক মানের করার বিষয়ে তিনি পরামর্শ দেন। শাইখ সিরাজ খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষিতে ভর্তুকি বাড়ানো, পোল্ট্রি শিল্পের দিকে নজর দিতে পরামর্শ দিয়েছেন। বিভিন্ন কাজ সময়মতো হয় না বলে অপচয় হয়, সেই অপচয় বন্ধ করার জন্য পরামর্শ দেন আলোচনায় অংশ নেওয়া গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।

এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর দেশে অনেক বোরো ধান নষ্ট হয়েছে। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য একটি প্যাকেজ নেওয়া হচ্ছে, সেভাবেই কাজটি করা হচ্ছে। ভারতও সেভাবে কৃষিতে সফলতা পায়নি। পাশের দেশ থাইল্যান্ডেও ঘাটতি আছে। করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে কৃষকরা কৃষিকাজ করতে পারেননি। স্বাভাবিক কাজ যেমন ব্যাহত হয়েছে, তেমনই কৃষিও ব্যাহত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ধান, চাল এবং গম প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। আমরা দাবি করি, আমরা খাদ্যশস্যে স্বাবলম্বী। খাদ্যশস্যে আমরা স্বাবলম্বী হতে পারি সেই বছর, যে বছর আমাদের প্রকৃতি স্বাভাবিক থাকে। যদি প্রাকৃতিক কোনও দুর্যোগ আসে, সেটা আমরা মেইনটেইন করতে পারি না। আমাদের এখানে যে পরিমাণ জমি, দক্ষতা ও সক্ষমতা আছে, তা যথাযথ কাজে লাগাতে পারলে আমরা সেই বছর সফল হই।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেট প্রণয়নের জন্য আমাদের একটি টিম আছে, সেই টিম কাজগুলো করবে। আমরা পরামর্শগুলো পেয়েছি, সেগুলো আমরা বিবেচনা করবো। আমরা টিম নিয়ে আবারও একসঙ্গে বসবো, বসে সেখানে সিদ্ধান্ত নেবো যে, এর মধ্যে কোনগুলো বাজেট প্রণয়নে কাজে লাগাবো। যতটা আমাদের সাধ্যে কুলায় সেভাবেই গ্রহণযোগ্য পরামর্শ আমরা গ্রহণ করবো।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি আমাদের লাইফলাইন। সুতরাং, সব ধরনের কৃষিজাত প্রোডাক্টে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবো। কৃষি ম্যানুয়াল থেকে ম্যাকানাইজড হবে, সেটা আমরা অলরেডি কাজ শুরু করেছি। গতবার বাজেটেও এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য ছিল। কিছু অর্থও আমরা সেই খাতে রেখেছিলাম। আমি মনে করি, আমাদের কৃষি অনেক ভালো কাজ করছে এবং কৃষিকে আরও গতিশীল, বেগবান ও শক্তিশালী করার জন্য যা যা প্রয়োজন সরকার তা করবে।’